‘তোশাখানা মামলা’য় ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা পাক নির্বাচন কমিশনের
ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বেআইনিভাবে উপহার বিক্রি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। পাক নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র এক বিবৃতি জানিয়েছে। অভিযোগ, পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কটের নেপথ্যে ইমরান খানের এই সিদ্ধান্ত দায়ী থাকতে পারে।
পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা ইমরান খান
ইমরান খানের আইনজীবী গহর খান বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে ঘোষণা করেছে, তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধতা করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান যাবেন।' পিটিআই নেতা আসাদ উমরও টুইট করেছেন। তিনিও জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের জেরে ক্ষুব্ধ তেহরিক ই ইনসাফের নেতারা। দলের সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।
হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ইমরান খানের
সম্প্রতি পাকিস্তানে উপনির্বাচন হয়। সেখানে ইমরান খানের দল পিটিআই সব থেকে আসনে জয় লাভ করে। এরপরেই পিটিআইয়ের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়। শাহবাজ শরিফ সরকারকে বার বার সাধারণ নির্বাচনের জন্য ইমরান খান ও পিটিআই চাপ দিতে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যেই দ্রুত সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ইমরান খানের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই নির্বাচন কমিশনের এই রায় পিটিআই ও ইমরান খানকে একটা বড় ধাক্কা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত
বিভিন্ন সময় দেশি বিদেশি পাওয়া উপহার বিক্রি করে তার অর্থ গোপন করার অভিযোগ রয়েছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। আস্থা ভোটে ইমরান খান পরাজিত হন। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসেন। শাহবাজ শরিফ বিরোধী নেতা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ইমরান খান সেই সময় অভিযোগ করেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে চক্রান্ত করে শাহবাজ শরিফ তাঁকে পদচ্যুত করেছেন। যদিও সেই অভিযোগ শাহবাজ শরিফ ও মার্কিন প্রশাসন অস্বীকার করেন।
পাকিস্তানের নিয়ম
পাকিস্তানি নিয়ম অনুসারে, কোনও উপহারের মূল্য ৩০,০০০ পাকিস্তানি মুদ্রা বা তার বেশি হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ প্রদান করতে হয়। কিন্তু এর থেকে নিচু মূল্যের যে কোনও উপহার নিজের কাছে রাখতে কোনও অর্থমূল্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত ইমরান খান মোট ৩১টি উপহার পেয়েছেন। তার মধ্যে মাত্র চারটির জন্য অর্থ প্রদান করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলা করা হয়।
'ভারতের উচিত ব্রিটিশদের শাসন করা', ব্রিটেন সঙ্কটের মধ্যেই Trevor Noah-এর ভিডিও ভাইরাল