নানকানা সাহিবের ঘটনার নিন্দা জানিয়েও মোদীকে তোপ ইমরানের
নানকানা সাহিবের ঘটনার নিন্দা জানিয়েও মোদীকে তোপ ইমরানের
নানকানা সাহিব ঘটনার দুইদিন পর আজ, রবিবার শেষ পর্যন্ত মুখ খুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই ঘনটার নিন্দা জানিয়ে ইমরান দাবি করেন, এরকম ঘটনার বিষয়ে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। তিনি বলেন, 'যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ ও আইন নিজের পথে চলবে। সরকার কোনও দোষীকে আড়াল করবে না।'
মোদীকে তোপ ইমরানের
এদিকে এই কথা বলার পর ইমরান ঘুরিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে এক হাত নেন। ইমরান বলেন, 'মোদীর আরএসএস দর্শন সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারকে সমর্থন করে। তাদের নীতি সেদেশের মুসলিমদের আক্রমণ করা। আরএসএস-এর গুন্ডারা গণপ্রহারের মাধ্যমে মুসলিমদের মারে। এবং এই সব ঘটনায় মোদী সরকারের সমর্থন থাকে। এমন কী সরকারের পুলিশও দেশের মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়।'
নানকানা সাহিবের রেশ কাটার আগেই পাকিস্তানে শিখ যুবকের মৃত্যু
তবে ইমরান যাই বলুক, নানকানা সাহিবের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের পেশাওয়ারে এক শিখ যুবকের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে পেশাওয়ারের চমকানি পুলিশ স্টেশন এলাকা থেকে। জানা গিয়েছে, কোনও অপরিচিত ব্যক্তির হাতে এই খুন হয়েছে সেখানে। তবে, কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তা অস্পষ্ট। ঘটনার সঙ্গে কোনও শনিবারে নানকানা সাহেবের উত্তেজনার ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
|
কয়েকদিন আগে ভুয়ো ভিডিও টুইট করেন ইমরান
এর আগে ভুয়ো ভিডিও টুইট করে ভারত বিরোধিতা করতে গিয়ে ব্যাকফুটে চলে যান ইমরান খান। সংখ্যালঘুদের ওপরে নরেন্দ্র মোদী সরকার অত্যাচার চালাচ্ছে। এই দাবি করে বাংলাদেশের একটি পুরনো ভিডিও উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলা
শুক্রবার লাহোরের নিকটবর্তী নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছিল একদল জনতা এবং এই বিক্ষোভের ফলে শিখ তীর্থযাত্রীদের দিকে পাথর ছুঁড়েছিল তারা। বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনায় জানায়, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা নানকানা সাহেবে গুরুদ্বারে হিংসার শিকার হয়েছে।
গুরুদ্বার ভেঙে মসজিদ তৈরির হুমকি
শতাধিক বিক্ষুব্ধ মুসলিম বাসিন্দারা গুরুদ্বারে পাথর ছোড়েন পাকিস্তানের নানাকানা সাহিবে। শুক্রবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা পবিত্র গুরুদ্বার ঘেরাও করে বহু ভক্তকে ভিতরে আটকে রাখে। আন্দোলনকারীরা গুরুদ্বারটি ধ্বংস করে সেই জায়গায় মসজিদ তৈরির হুমকিও দেয়। এই হামলা ও প্রতিবাদের ভাষা এমনভাবেই হয়েছিল যেন মসজিদ তৈরির জন্য গুরুদ্বারটি ধ্বংস করা হবে। শিখ বিরোধী নানা স্লোগানও দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, যে কোনও শিখকে শহরেই থাকতে দেওয়া হবে না। নানকানা সাহেব গুরুদ্বার থেকে নাম পরিবর্তন করে গোলামান-ই-মুস্তফা করা হবে এই সৌধকে।
নানকানা সাহিবের উত্তেজনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে খুন শিখ যুবক! চরম চাঞ্চল্য