করোনার প্রকোপে রেকর্ড মন্দার সম্মুখীন বিশ্ব, কবে ফিরবে অর্থনীতির হাল?
করোনা ভাইরাস রুখতে বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে। থমকে রয়েছে অর্থনীতি। বড়সড় আর্থিক মন্দার কোপে পড়তে চলেছে বিশ্ব, সে বিষয়ে অশনিসঙ্কেত দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্ব অর্থনীতির মোট ১ শতাংশ এই ধসের জেরে হ্রাস পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর জেরে বহু মানিষ তাদের চাকরি হারাতে চলেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০৮ এর মন্দার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি
করোনা ভাইরাসের ফলে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দার মুখে, যা খারাপ বা খুব খারপ হতে পারে ২০০৮ এর মন্দার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে, এমনটাই জানালেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। তিনি বলেন, 'এটা পরিষ্কার যে আমরা একটা মন্দার মধ্যে ঢুকে গিয়েছি, যা ২০০৯ এর থেকেও খারাপ।'
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি কমে ১.৫ শতাংশে
বিশ্বে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ১.৫ শতাংশে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অর্থাৎ আইএমএফ সম্প্রতি জানিয়েছে, করোনভাইরাসের জেরে বিশ্ব-মন্দা তৈরি হয়েছে। বাজারগুলির সামগ্রিক আর্থিক ঘাটতি দেখা দেবে। এই পরিস্থিতি থেকে ২০২১ সালের আগে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নেই। পরবর্তী ২ মাসের মধ্যে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি হতে পারে।
বিশ্ব অর্থননীতির মূল উদ্বেগ
আইএমএফ প্রধান জানান, বিশ্ব অর্থননীতির একটা মূল উদ্বেগ হল, দেউলিয়া অবস্থা এবং ছাঁটাই, যা শুধুমাত্র পুনরুদ্ধারকে বাধা দেবে, সেটাই নয়, আমাদের সমাজের কাঠামোকেও ক্ষয় করবে। নতুন বাজার নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সঙ্কটে ২.৫ ট্রিলিয়ন তহবিল প্রয়োজন। তবে আইএমফ প্রধান সতর্ক করে দেন, এই হিসেবটি নূন্যতম।
২০২১-এ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রকল্প
ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কথায়, 'আমরা ২০২১ এ পুনরুদ্ধারের প্রকল্প তৈরি করছি। তবে আয়তন অনুযায়ী প্রতিক্ষেপ রয়েছে। আমরা যদি সব জায়গায় ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, লিকুইডিটি সমস্যাকে পরিশোধ ক্ষমতা হওয়া থেকে রোধ করতে পারি।'