করোনা প্রহারে স্বপ্ন ভঙ্গ! জি-২০ দেশগুলির মধ্যে লাস্ট বয়ের তকমা জুটল ভারতের কপালে
সোমবার ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অতিমারী করোনার জেরে গত ৪০ বছরে সব থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জিডিপি। আর এর জেরে ভারতের উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নে লেগেছে ধাক্কা।
প্রায় সব খাতেই সঙ্কুচিত অর্থনীতি
করোনার ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে গত বছরের এপ্রিল-জুন সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে প্রবৃদ্ধির হার। এ ছাড়া এই সময়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ৩৯.৩ শতাংশ এবং নির্মাণ খাত ৫০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। বাণিজ্য খাতে সঙ্কোচন দেখা গিয়েছে ৪৭ শতাংশ। বিনিয়োগও কমেছে ৪৭ শতাংশ।
বেহাল দশা ভারতের
আর পরিসংখ্যান প্রকাশ পেতেই স্পষ্ট হয় চিত্রটা। বর্তমানে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্য়ে অর্থনৈতিকভাবে সব থেকে বেহাল দশা ভারতেরই। এই বিষয়টি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ। এছাড়া ভারতের এক ধাপ ওপরেই আছে গ্রেট ব্রিটেন।
ব্রিটেনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ২১.৭ শতাংশ
এই ত্রৈমাসিকে ব্রিটেনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ২১.৭ শতাংশ। ফ্রান্সের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ। রেকর্ড পরিমাণে কমেছে দেশটির আর্থিক কার্যক্রম। ইউরোজোনের অন্যান্য দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি কমেছে ফ্রান্সের।
ইতালির প্রবৃদ্ধি এপ্রিল থেকে জুনে কমেছে ১৭.৭ শতাংশ
এদিকে ইতালির প্রবৃদ্ধি এপ্রিল থেকে জুনে কমেছে ১৭.৭ শতাংশ। এ হার ১৯৯৫ সালের পর সর্বোচ্চ। প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি সঙ্কুচিত হয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। কিন্তু দ্বিতীয় প্রান্তিকে করোনা মহামারীর ভয়াবহতার পাশাপাশি আর্থিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা দেখেছে দেশটি।
সঙ্কুচিত মার্কিন অর্থনীতিও
২০২০ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। কোয়াটারলি হিসেবে এ নেতিবাচক ধারা ১৯৪৭ সালের পর সবচেয়ে বেশি। মহামারীতে এপ্রিল থেকে জুনে অস্ট্রেলিয়ার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে ৭ শতাংশ। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক। প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি কমেছিলো মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।