বেআইনি ভিসার গেরোয় ইরাকে বন্দী ভারতীয়রা, সমস্যা মুক্তিতে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জলন্ধর, ফতেপুর সাহিবের অন্ততপক্ষে ১২১ জন যুবকের ভিসার মেয়াদ প্রায় দু মাস আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। য়ার ফলে বাগদাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে কারবালা শহরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
আর এ ফলে অতি কষ্টে প্রায় এক সপ্তাহ কাটাতে হয়েছে। খাবার নাম মাত্র, জলও প্রায় নেই বললেই চলে। একটি নির্মাণ সংস্থার বেসমেন্টে এই ভারতীয় কর্মীদের আটকা থাকতে হয়েছে। যে সংস্থা তাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছিল তারাই নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এঁদের ঘুপচি ঘকে অন্ধকারে আটকে রেখে দিয়েছিল।
কুয়েতের মানবাধিকার দল পাঞ্জাব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অভিযোগ, এই সংস্থাগুলিই এই ভারতীয় নির্মাণকর্মীদের জোর করে আটকে রেখেছিল। কারণ সরকার যদি জানতে পারে অনুপ্রবেশকারী শ্রমিক দিয়ে অবৈধভাবে কাজ করাচ্ছে তাহলে সংস্থাকে প্রতি শ্রমিকপিছু ৫০০ ডলার করে জরিমানা দিতে হবে। তাই সংস্থার তরফে কর্মীদেরকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সংস্থা ছেড়ে যেতে গেলে ওই জরিমানার টাকা সংস্থাকে দিয়ে যেতে হবে।
আটকে পড়া ভারতীয়দের অনেকেরই বৈধ ভিসা নেই,দুবাইয়ের পর্যটক ভিসা নিয়ে ইরাকে ঢুকেছে
সাঙ্গরুরের আপ সাংসদ ভগবন্ত মান জানিয়েছেন, কুয়েতে ভারতের হাই কমিশন ও পঞ্জাব ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতা নিয়ে কয়েকজন পাঞ্জাবি তরুণ ও যুবককে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আমাদের আশা। সমস্ত পরিবারগুলির সঙ্গেও তিনি যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে যত দিন কাটছে তত ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে ইরাকে আটকে পড়া ভারতীয়দের পরিবারেরও। আটকে পরা ভারতীয়দের কয়েকজন পরিবারকে ফোন করে তাঁদের মুক্তির জন্য ইরাকে ভারতীয় দূতাবাসের কাছে আর্জি জানানোর কথাও বলেছেন। পরিবারের তরফে দূতাবাসকে ওই আটকে পড়া ভারতীয়দের পরিবহণ ও নিরাপত্তা দিয়ে সংস্থার চত্ত্বর থেক বের করে আনার জন্য অনুরোধ করা হবে।
পাঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৯০ জন তরুণ ও যুবক যাদের বৈধ নথি রয়েছে তাদের আপাতত ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৭০ জনের কাছে টিকিট কাটার টাকা নেই। টিকিটের ব্যবস্থা করে তাদের কাছে পাঠানো হবে এবং অনুমান খুব শীঘ্রই তাই ফেরত আনা সম্ভব হবে।