ক্যামেরুন থেকে ইহু আক্রান্তরা আসেন ফ্রান্সে, তির সেই আফ্রিকার দিকে
ক্যামেরুন থেকে ইহু আক্রান্তরা আসেন ফ্রান্সে, তির সেই আফ্রিকার দিকে
মার্সেই : আবারও কি 'কালপ্রিট' আফ্রিকা? করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ইহু নিয়ে উঠতে শুরু করেছে এমনই প্রশ্ন। কারণ যে ১২ জন ফ্রান্সের নাগরিক ইহুতেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে।ঘটনা হল, ফ্রান্সের মার্সেই থেকেই নিয়মিত আফ্রিকার দেশগুলোতে যাতায়াত করেন বহু মানুষ। এদের বেশিরভাগের গন্তব্য থাকে আবার ক্যামেরুন। আর তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, ওমিক্রনের মতো ইহুও কি আফ্রিকা জাত?
বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। কিন্তু ভাইরাসের এই নয়া রূপ ইহু কতটা সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট করে গবেষকরা কিছু জানাননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, শুধু ফ্রান্সেই কয়েকজন রোগীর শরীরে এর খোঁজ মিলেছে। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা। পাশাপাশি , ওই স্ট্রেনটির উৎস ক্যামেরুনেই কি না তা দেখতে চান বিজ্ঞানীরা।
এই প্রসঙ্গে মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল-ডিং টুইট করে বলেছেন, 'এখন করোনার নতুন রূপগুলো একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এই নয় যে তার প্রতিটিই বিপজ্জনক। সংখ্যা বৃদ্ধি করার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা। মূল ভাইরাসটি থেকে কতগুলো মিউটেশন হচ্ছে, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তিনি জানিয়েছেন'।
গবেষকদের দাবি- ইহু ভ্যারিয়েন্টটির অন্তত ৪৬টি মিউটেশন হয়েছে। ফলে এর সঙ্গে লড়াইয়ে কোভিডের চলতি টিকাগুলো কার্যকরী না হতেও পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খবর মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনার এই রূপ। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রনই। ফলে নয়া স্ট্রেনের পক্ষে এই মুহূর্তে তাকে টেক্কা দেওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।