
আমি থাকলে এমন ঘটনা ঘটতেই দিতাম না! কাবুল বিস্ফোরণের পর কেন এমন বললেন ট্রাম্প
গত ২৪ ঘন্টা আগে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল। এখনও পর্যন্ত শতাধিকেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন জওয়ানও রয়েছে। আর এই ঘটনাতে চরম ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনাতে নতুন করে সংবাদ শিরোনামে প্রাক্তন মার্কিন প্রেশিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাতে মৃত মার্কিন জওয়ানদের পরিবারে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনাতে শোক প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর মতে, এই মুহূর্তে তিনি যদি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে থাকতেন তাহলে কখনই তিনি নাকি এই ঘটনা ঘটতে দিতেন না।
কাবুলে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনাতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কাবুলে মৃত নির্দোষ নাগরিকদের পরিবারের পাশে আছে আমেরিকা। ত
বে এমন ঘটনার আগে অবশ্যই আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়াই উচিৎ ছিল না। আর এখানে তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে আমি যদি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি থাকতাম তাহলে কখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দিতাম না। কার্যত কিছু কটাক্ষের সুরেই ট্রাম্প লিখেছেন, ঈশ্বর আমেরিকার রক্ষা করুক।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘটা আগে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জানিয়েছেন, কাবুল বিস্ফোরণের ঘটনাতে এখনও পর্যন্ত বহু মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমরা খুঁজে বের করে জবাব দেব তোমাদের, এর মূল্য চোকাতেই হবে।' কাবুলের জোড়া বিস্ফোরণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে তাৎপর্যবাহী বলে মনে করছে কূটনৈতিক দুনিয়া।
বলা প্রয়োজন কাবুল বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসার পরেই হোয়াইট হাউসের কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ বিস্ফোরণে গত এক দশকে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে আমেরিকার। সেদেশের বহু সেনা জওয়ান এই বিস্ফোরণে শহিদ হয়েছেন। যে ঘটনাকে কার্যত ভালোভাবে নেয়নি মার্কিনিরা। ঘরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন গোয়েন্দাদের সূত্রে বহু তথ্য বলছে বাইডেন প্রশাসন যত ক্ষণ না পর্যন্ত আফগানিস্তানের বুকে এই নারকীয় হামলার প্রতিশোধ নিতে পারছে, ততক্ষণ তারা চুপ থাকবে না।
প্রসঙ্গত, কাবুল বিমানবন্দর আপাতত মার্কিনি সেনার আওতাধীন। আর সেখান দিয়ে নিত্যদিনই লাখ লাখ আফগান নিরাপদে ভিন দেশে চলে যাচ্ছেন নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে। নেপথ্যে রয়েছে সেই তালিবানি আতঙ্ক। আর সেই সুযোগেই মার্কিনিদের উপর হামলার ছক কষে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।