আশঙ্কা বাড়িয়ে ঘন্টায় ১২০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে হ্যারিকেন! উত্তাল হবে সমুদ্র সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস
চলতি বছর একের পর এক সাইক্লোনের আঁচ পেয়েছে বিশ্বের মানুষ। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও পর্যন্তও হয়েছে। আর ফের একবার আতঙ্ক বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে হ্যারিকেন হেনরি। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ভয়ঙ্কর গতি নিয়ে এই ঝড় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
চলতি বছর একের পর এক সাইক্লোনের আঁচ পেয়েছে বিশ্বের মানুষ। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও পর্যন্তও হয়েছে। আর ফের একবার আতঙ্ক বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে হ্যারিকেন হেনরি। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ভয়ঙ্কর গতি নিয়ে এই ঝড় উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
নিউ ইংল্যান্ড এলাকাতে গত ত্রিশ বছরে এমন হ্যারিকেন দেখা যায়নি। প্রথমে সাধারণ ঝড়ের আকার নিলেও পরে তা হ্যারিকেনে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের এই ঝড়ের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। হড়পা বানের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা।
এমনকি প্রবল এই হ্যারিকেনের কারণে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। বইতে পারে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। ঘন্টায় ১২০ কিমি বেগে প্রবল হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সমুদ্র উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। মার্কিন ন্যাশানাল হ্যারিকেন সেন্টার জানাচ্ছে, রবিবার ভয়ঙ্কর এই হ্যারিকেন আছড়ে পড়ার আগে শক্তি একটি কমতে পারে। তবে সাদার্ন নিউ ইংল্যান্ড এবং লং আইল্যান্ডের উপকূলে এই ঝড় পৌঁছানোর আগে তা মারাত্মক হ্যারিকেনের আকার ধারণ করবে। এমনটাই আশঙ্কা ন্যাশানাল হ্যারিকেন সেন্টারের।
এই ঝড়ের কারণে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্কতায় জানানো হয়েছে। আর সেই বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যা বিধ্বস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। নিউ ইংল্যান্ডের কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, নিউ হ্যামশয়ার, হার্মন্ড সহ একাধিক এলাকাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমুদ্র সৈকত। ভয়ঙ্কর এই ঝড়ের কারণে তিন লক্ষ্যেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
এর আগে ১৯৯১ সালে এই এলাকাতে হ্যারিকেন আছড়ে পড়েছিল। ওই ঝড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফের একবার শহরে আকাশে কালো মেঘ। ধেয়ে আসছে শক্তিশালী হ্যারিকেন। ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
আর ঝড় থামলেই যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজে নামা হয় সেই কারনে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে হ্যারিকেন আছড়ে পড়ার আগে সবরকম প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে।