ফের আতঙ্কে আমেরিকা! ২২৫ কিমি. প্রতি ঘণ্টা বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় 'ফ্লোরেন্স'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ২২৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দিকে ঘণ্টায় ২২৫ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। ইতিমধ্যে এটিকে ক্যাটেগরি ৪ ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দেওয়া হয়েছে। যা অবস্থা তাতে খুব তাড়াতাড়ি এটিকে ক্য়াটেগরি ৫ অর্থাৎ সর্বোচ্চ ক্যাটেগরিতে মাপা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যত সময় গড়াচ্ছে ততই শক্তিশালী হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার এই ঘূর্ণিঝড়কে 'অত্যন্ত ভয়ঙ্কর' হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। যেকোনও সময় এটিকে লেভেল ৫ এর তকমা দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে। সোমবার অন্তত ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ ক্যারোলিনা গভর্নর হেনরি ম্য়াকমাস্টার এই নির্দেশ দিয়েছেন। আবহাওয়া বিদেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পূর্ব উপকূলে ঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে। এছাড়া পাশের উত্তর ক্যারোলিনার গভর্নরও উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরে আসতে বলেছেন। পর্যটন স্থলগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এবং ভার্জিনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
পূর্ব উপকূল এলাকা এমনিতেই অত্যধিক বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। তার উপরে এমন মারাত্মক মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হলে গোটা অঞ্চল বিপর্যস্ত হতে পারে। সেই ভয়টাই প্রশাসনকে তাড়া করেছে।
[আরও পড়ুন:বন্যা বিধ্বস্ত হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ! বৃষ্টি আরও কতদিন, জেনে নিন বিস্তারিত]
এই মুহূর্তে বারমুডা থেকে ৫২৫ মাইল দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। মঙ্গলবার তা বারমুডা পেরোবে। বৃহস্পতিবার তা বাহামাস পেরোবে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত হতে পারে এমন অঞ্চলের মানুষকে প্রশাসনের কথা শুনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৫ সালে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার আছড়ে পড়ায় ১৮৩৩ জনের প্রাণ গিয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ও যেভাবে গতি বাড়াচ্ছে তাতে ফের একবার আমেরিকার সমস্যা বাড়তে চলেছে।