করোনা যুদ্ধে এখনও অধরা অস্ত্র! মানব শরীরে রেমডেসিভির ওষুধের ট্রায়াল ব্যর্থ চিনে
ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছিল মোট ২৩৭ জন রোগীকে। তাতে বিশেষ ফল মেলেনি। এমনকি কারোর শরীরে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। রেমডেসিভির ওষুধের প্রথম মানব ট্রায়ালের রেজাল্টে নাকি উঠে এসেছে এমনটাই। যা করোনা যুদ্ধে ওষুধ বা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা।
ওষুধটি বানানো হয়েছিল ইবোলা সংক্রমণ রোধের জন্য
রেমডেসিভির ওষুধটি এককালে বানানো হয়েছিল ইবোলা সংক্রমণে রোধের লক্ষ্যে। সেই সময়ও ওষুধটি বিশেষ কার্যসিদ্ধি করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছিলেন করোনা ভাইরাস রোধে বেশ কাজে দেবে এই ওষুধ। তবে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী এই ওষুধের কার্যকারিতায় হতাশ হতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের।
করোনার বিরুদ্ধে এই ওষুধ ব্যর্থ
২০১০ সালে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির তৈরি করে গিলেড সায়েন্সস। রেমডেসিভির ওষুধের নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছিল ৫৫০০ রোগীর উপরে এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আনেনি সংস্থা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে এই ওষুধের ব্যর্থতার কথা সামনে চলে আসে।
রেমডেসিভির করোনা আক্রান্তদের শরীরে কার্যকরী নয়
সূত্রের খবর, মানুষের শরীরে এই ওষুধের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছিলেন চিনের বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই খবর আসে রেমডেসিভির করোনা আক্রান্তদের শরীরে তেমনভাবে কার্যকরী হয়নি। এই ওষুধ খাওয়ানোর পরেও রোগীদের সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
পরীক্ষা চলছে অন্য ওষুধের ক্ষেত্রে
প্রথমে দাবি করা হয়েছিল যে চারজন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপর এই ড্রাগের প্রভাব কার্যকরী হয়েছে। যদিও তখনই এই ওষুধ ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিতে পারেনি গিলেড সায়েন্সেস। তবে শেষ পর্যন্ত এই ড্রাগটিও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে, এমন প্রমাণ মিলল না। রেমডেসিভির ছাড়াও বর্তমানে ফ্যাভিপিরাভির ও বলোক্সাভির নামক দুটি ওষুধএর উপর কাজ চলছে। এখন ভরসা এরাই।