পৃথিবীর গা ঘেঁষে চলে যাওয়া বস্তুটি কি ভিন গ্রহের স্পেসক্রাফ্ট! যা জানালেন বিজ্ঞানীরা
মহাকাশের এক মহাজাগতিক ঘটনাকে ঘিরে এই মুহুর্তে গভীর ধন্ধে রয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গ্রাহাণু বা পাথরের মতো দেখতে এক অদ্ভুত বস্তু কিছুদিন আগেই পৃথিবীকে ছাড়িয়ে বেড়িয়ে চলে যায়।
মহাকাশের এক মহাজাগতিক ঘটনাকে ঘিরে এই মুহুর্তে গভীর ধন্ধে রয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গ্রাহাণু বা পাথরের মতো দেখতে এক অদ্ভুত বস্তু কিছুদিন আগেই পৃথিবীকে ছাড়িয়ে বেড়িয়ে চলে যায়। আর এই বৃহদাকার বস্তুর গতিপ্রকৃতি নিয়েই জন্ম নিয়েছে যাবতীয় সংশয়।
[আরও পড়ুন:খোঁজ মিলল আরও এক নতুন সৌরজগতের, কী রয়েছে সেখানে জানুন ,সৌজন্যে নাসা]
সিগারেটের আকারের এই পাথরের মতো বস্তুকে অনেকেই মনে করছেন এটি ভিন গ্রহের এলিয়ান স্পেসক্রাফ্ট হতে পারে। 'সার্চ ফর এক্সট্রা টিরেস্ট্রিয়াল ইন্টালিজেন্স' এর গবেষকরা আপাতত একটি উন্নতমানের টেলিস্কোপ নির্মাণে ব্যাস্ত। এই টেলিস্কোপের সাহায্যেই তাঁরা খোঁজ চালাবেন , যে এই গ্রাহণুর আকারের বিস্ময়কর বস্তুটি ঠিকো কোন দিক এসেছিল পৃথিবীর কাছাকাছি।
এই রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তুটির নামকরণ করা হয়েছে 'অমুয়ামুয়া' হিসাবে। অন্যকোনও সৌর জগত থেকে আসা এই বস্তুটি সম্ভবত প্রথম কোনও ভিনগ্রহের এয়ারক্রাফ্ট। প্রাথমিকবাবে বিজ্ঞানীরা সেটাই মনে করছেন। প্রথমে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই মহাজাগতিক বস্তুটি পরিলক্ষিত হয়। গত অক্টোবর মাসেই এই বস্তুটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।
প্রথমে এটিকে গ্রহাণু মনে করেছিলেন বিজ্ঞাণীরা। তবে এর বেশ কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট ধরা পড়ায়, আপাতত এটিকে ভিনগ্রহের স্পেসক্রাফ্ট বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই স্পেস ক্রাফ্টের গতি অত্য়ন্ত বেশি। পাশাপাশি সূর্যের মাধ্যাকর্ষণেও এই বস্তুটি ধরা দেয় না. এর সূঁচলো মুখ মাহাকাশের গ্য়াসকে কাটিয়ে সহজে বেরোবার জন্য় তৈরি হয়েছে। আপাতত অমুয়ামুয়া সম্পর্কে আরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এলে তবেই জানা যাবে এর গোটা বৃত্তান্ত।
[আরও পড়ুুন:পৃথিবীর অদূরেই 'সুপার আর্থ' এর সন্ধান বিজ্ঞানীদের, এত কাছে বহির্বিশ্বের প্রাণ কি রয়েছে]