পাকিস্তানের মুখোশ খুলে ৯/১১ হামলা ও মুম্বইয়ে জঙ্গি হানাকে এক সূত্রে গেঁথে দিলেন নরেন্দ্র মোদী
পাকিস্তান সারা বিশ্বের সামনে ভারত সম্পর্কে যাই বলুক না কেন, তা যে বিশ্বাসযোগ্য নয়, তা ফের একবার দুনিয়ার সামনে স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পাকিস্তান সারা বিশ্বের সামনে ভারত সম্পর্কে যাই বলুক না কেন, তা যে বিশ্বাসযোগ্য নয়, তা ফের একবার দুনিয়ার সামনে স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামনে বসিয়ে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নাম না করে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে প্রতিবেশী দেশে সন্ত্রাসবাদকে উস্কানি দেওয়া হয়। এবং সেই সন্ত্রাসবাদ যে সারা বিশ্বে কাছে বড় হুমকি তাও একবার আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সারা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক
মোদী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের শিকার বিশ্বের বহু দেশ। ভারত এর বিরুদ্ধে লড়ছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও শপথ নিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার। এবং এখন সময় এসেছে, যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের।
ট্রাম্পকে হামলার কথা মনে করালেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী হানা হোক অথবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলা, অপরাধীরা সকলেই পাকিস্তানে বসে রয়েছে বা ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল। সে দেশেই তাদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং আমেরিকার দুজনেরই সমস্যার বিষয় সেকথাও আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এবং একই সঙ্গে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন।
|
দুই দেশই হামলার শিকার
প্রসঙ্গত ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল তাতে বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন। মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছুঁয়ে ফেলেছিল। এটিকে ভারতে ২০০৮ সালে যে জঙ্গি হামলা হয়েছিল, সেই হামলায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল দেড়শো জনের বেশি। আহত হয়েছিলেন তিনশোর বেশি মানুষ। আমেরিকায় হামলা চালিয়েছিল ওসামা বিন লাদেনের জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা। ২০১১ সালে এই লাদেনকে মার্কিন সেনা পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে নিকেশ করে। অন্যদিকে ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বইয়ে হামলা চালায় হাফিজ মহম্মদ সঈদের লস্কর-ই-তৈবা। এখনও হাফিজ সঈদ পাকিস্তানে লুকিয়ে রয়েছে।