বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে চিনের সঙ্গে কেমন হবে আমেরিকার সম্পর্ক?
চিন-মার্কিন সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এককালে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন জো বাইডেন। প্রাক্তন এই উপরাষ্ট্রপতি এবার প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী। তবে হোয়াইট হাউজে তাঁর আগের সময় থেকে পরিস্থিতি বদলেছে অনেকটাই। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে হাতিয়ার করেছেন বাইডেনের 'চিন প্রীতি'কে। তবে নির্বাচনী আবহে কোথায় দাঁড়িয়ে বাইডেন?
তেজস্বীর তারুণ্য ঝড়ে উড়ে যাবেন নীতীশ, নয়া প্রজন্মের হাত ধরে বিহারের রাজনীতিতে পট পরিবর্তন
বাইডেন নির্বাচিত হলে কেমন হবে চিন-মার্কিন সম্পর্ক?
বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হলে চিনের সঙ্গে কেমন হবে আমেরিকার সম্পর্ক? এই প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে। বিশেষ করে ভারতীয়রা এই দিকে নজর রাখছে। তবে সামপ্রতিক কালে মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী ভারতীয় বংশদ্ভূতরা ঝুঁকেছেন বাইডেনের দিকে। আর এর মূল কারণ, বাইডেন নিজেও ওয়াশিংটনের হাওয়া বুঝে চিন বিরোধী দলে নাম লিখিয়েছেন নিজের।
বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন বাইডেন?
বাইডেন মার্কিন বিদেশ নীতি ঠিক করার দায়িত্বে থেকেছেন বহুকাল। সেই সময় চিনের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে দূরত্ব গুছিয়ে ফেলার উপরই জোর দিয়েছেন বারংবার। তবে সেই বাইডেনই এবার প্রকাশ্যে শি জিনপিংকে 'যোচ্চের' বলে সম্বোধন করতে শোনা গিয়েছে। তবে তাও প্রশ্ন থাকছে, ডেমোক্র্যাট এই নেতা কী ভাবে চিনের সঙ্গে বর্তমান এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন?
বাইডেনের মানবাধিকার রক্ষার মন্ত্র
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই বাইডেনের প্রচারের মূল মন্ত্র আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে জোট ধর্ম পালন এবং মানবাধিকার রক্ষা। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি উপনীত হওয়ার আগে মার্কিন-চিন বাণিজ্য চুক্তির সমালোচনা করেছেন বাইডেন। ট্রাম্পের ঘাড়ে এই দোষ চাপালেও, বাইডেন নিজে কিন্তু স্পষ্ট করে জানাননি যে তিনি ক্ষমতায় এলে এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেবেন।
চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে বিশেষ প্রকল্পের প্রস্তাব
তবে চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে কতকটা মোদীর ভঙ্গিতেই 'বাই আমেরিকান' পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাইডেন। ৪০০ বিলিয়ন খরচের এই প্রকল্পের অধীনে মার্কিন মুলুকে তৈরি জিনিস কিনবে মার্কিন সরকার। এছাড়া বিশ্বজুড়ে চিন বিরোধী গণতন্ত্রগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে চলার পরিকল্পনার কথাও জানান বাইডেন। সেক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বে চিড় ধরবে না বলেই আশা করা যায়।
তথ্য চুরির ইস্যুতে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত
যদিও এর আগে ট্রাম্পের হয়ে তাঁর ছেলে দাবি করেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের তরফে প্রার্থী হওয়া জো বাইডেন ভারতের জন্য ভালো নন। তিনি চিন ইস্যুতে নরম হতে পারেন। যদিও টিকটক থেকে হুয়েই, চিনা সংস্থার তথ্য চুরির ইস্যুতে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন জো বাইডেন।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথা জানান বাইডেন
চিনা সংস্থার তথ্য চুরির ইস্যুতে এর আগে টিকটক, হুয়েইয়ের মতো সংস্থাগুলিকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, 'ঈশ্বরই জানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তথ্য চুরিকরে তারা কী করে। আমি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হই তাহলে আই এই বিষয়টির গোড়ায় যাব। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে এই বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করব।' এছাড়া হুয়েইয়েই সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও সমর্থন জানিয়েছিলেন বাইডেন।
হংকং-তিব্বত ইস্যুতে বাইডেনের বক্তব্য
এছাড়া হংকংয়ে মানবাধিকার, তিব্বতের গণতন্ত্র অ্যাক্ট পুরোপুরি লাগু করা হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জো বাইডেন। উল্লেখ্য, এর আগে দলাই লামার সঙ্গে দেখা করে তিব্বতের গণতন্ত্র অ্যাক্টে সই করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই আইন লাগু করার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি ট্রাম্পের তরফে। এদিকে জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাইডেন।
অকালি-শিবসেনার পর জেডিইউ/এলজেপি? বিহার নির্বাচনের পর আরও সঙ্গী হারানোর পথে বিজেপি