অভিনন্দনের মুক্তিতে আরবদেশগুলি চেপে ধরেছিল পাকিস্তানকে! ভারত কিভাবে বাজিমাত করেছে
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক কথাতেই সৌদি আরবে বন্দি ৮৫০ জন ভারতীয়কে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষমা করেন সেদেশের রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমন। আর এরপরই আসে দিল্লির সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক কথাতেই সৌদি আরবে বন্দি ৮৫০ জন ভারতীয়কে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষমা করেন সেদেশের রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমন। আর এরপরই আসে দিল্লির সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। পাকিস্তানের কব্জা থেকে বার করে নিয়ে আসতে হবে ভারতীয় উইং কামান্ডার অভিনন্দনকে। মুহূর্তে তৎপরতা শুরু করে দেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দফায় দফায় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপরই সৌদি আরবের ইসলামিক কনফারেন্সে যোগ দিতে রওনা হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর ততক্ষণে রাজধানী দিল্লিতে অভিনন্দকে ছাড়িয়ে আনার জন্য পাকিস্তানকে কূটনৈতিক চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। কিন্তু অভিনন্দনকে ছাড়িয়ে আনতে কাজ করেছে আরও একটি ফ্যাক্টর। তা হল আন্তর্জাতিক চাপ! খুব খুঁটিয়ে দেখতে গেলে বলা ভালো দুটি আরব্য দেশের চাপ।
মার্কিন চাপ
উইং কামান্ডার অভিনন্দনকে পাকিস্তান গ্রেফতার করে রাখলেও, তাঁকে নিয়ে রীতিমত চাপে ছিল ইমরান প্রশাসন। এদিকে, ততক্ষণে ইসলামাবাদের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। অভিনন্দনকে পাকিস্তান থেকে মুক্তির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে হানোয় থেকে ট্রাম্প জানিয়ে দেন এবার কোনও 'আশাব্যাঞ্জক খবর আসতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের তরফে'।
অজিত ডোভাল ও মার্কিন সচিব পম্পেও আলোচনা
অভিনন্দনকে ফেরাতে ভারতে যখন ক্রমেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। তখনই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও। তারপরই ধীরে ধীরে ইসলামাবাদের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়তে থাকে।
ইসলামিক কন্ফারেন্সে কাশ্মীর প্রসঙ্গ
ইসলামিক কনফারেন্স বহু বছর ধরেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন যে সুষমা স্বরাজ যদি বিশেষ অতিথি হিসাবে সেখানে যান , তাহলে তিনি ইসলামিক কনফারেন্সে যাবেন না।
সৌদী রাজপুত্রের বার্তা
ভারত পাক উত্তেজনা যখন চরমে তখন সৌদির যুবরাজ আলাদাভাবে সলমন ফোন করেন ইমরান খান ও মোদীকে। জানান পরিস্থিতি হাতের মধ্যে রাখতে আগে পিছু ভেবে দেখা উচিত। উল্লেখ্য, জেনভা কনভেনশন অনুযায়ী অভিনন্দনকে কয়েকদিনের মধ্যেই ছাড়তে বাধ্য ছিল পাকিস্তান, নতুবা আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা ছিল।
রাজপুত্রের জরুরি বার্তা!
শোনা যাচ্ছে সৌদির রাজপুত্রের জরুরি বার্তা নিয়ে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী শুক্রবারই পৌঁছচ্ছেন ইসলামবাদে। তারপর সৌদির এক প্রতিনিধি দল আসবে দিল্লিতে। সূত্রের দাবি, সৌদির মতো আরব আমিরশাহিও একই রাস্তায় হাঁটছে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে অরব্য দেশগুলির এই অবস্থান রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ।