ফেসবুকে বন্ধুত্ব, তরুণীকে ডেকে এনে গণধর্ষণ হরিয়ানায়
পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার জিন্দের বাসিন্দা ওই তরুণীর বয়স ২১ বছর। কিছুদিন আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। ফেসবুকে আলাপ হয় রামনিবাস ওরফে রাজ ফৌজির সঙ্গে। প্রথমে হাই, হ্যালো দিয়ে শুরু হয় আলাপ। তার পর কুশল বিনিময়। ক্রমশ ব্যক্তিগত তথ্য আদানপ্রদান। ওই অচেনা যুবককে নিজের মোবাইল নম্বরও দেয় তরুণীটি। শুরু হয় দু'জনের মধ্যে ফোনালাপ। গত সোমবার সকালে রাজ ফৌজি তরুণীটিকে ফোন করে। বলে, এক সঙ্গে দু'জনে সিনেমা দেখতে যেতে চায়। মেয়েটি সানন্দে রাজি হয়ে যায়। সন্ধেবেলা প্রথম মুখোমুখি হয় দু'জনে। তাঁকে গাড়িতে তুলে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় বিবিপুর এলাকার একটি নির্জন খামারবাড়িতে। সেখানে ততক্ষণে অপেক্ষা করছিল আরও দুই যুবক। তরুণীটি প্রশ্ন করতে শুরু করলে তাঁকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ওই তিন যুবক প্রচুর মদ্যপান করে। তার পর ঘরে ঢুকে প্রথমে তরুণীটির শ্লীলতাহানি করে। তিনি চেঁচাতে শুরু করলে মারধর করা হয়। তার পর সারা রাত ধরে গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ওই খামারবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরে এসে তিনি স্বামীকে সব কিছু জানান। থানায় লিপিবদ্ধ হয় ধর্ষণের অভিযোগ।
জিন্দ থানার এএসআই কমলেশ কুমার বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তিনজনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর উপদেশ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কখনওই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ফোন নম্বর ইত্যাদি দেওয়া উচিত নয়, বিশেষত মেয়েদের। কারণ নিজের নিরাপত্তার কথা সর্বাগ্রে ভাবা উচিত। এক্ষেত্রে ধর্ষিতা তরুণীর প্রথম ভুল ছিল, নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ফোন নম্বর ফেসবুক মারফত অভিযুক্তকে দেওয়া। দ্বিতীয় ভুল ছিল, সিনেমা দেখতে যাওয়ার প্রস্তাবে রাজি হওয়া। তাই মাশুল দিতে হল।