নোট বাতিলের ফলে জঙ্গিদের কী অবস্থা? পাকিস্তানে বসে জানাল জঈশ প্রধান মাসুদ আজহার
নিজের দলীয় এক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে আজহার সাদি ছদ্মনামে লেখে। সেখানে সে লিখেছে, আমরা ডলার, পাউন্ড ও ইউরো ভাঙিয়ে ছোট অঙ্কের নোট জোগাড় করেছি। ফলে জেহাদিদের কোনও অসুবিধা হবে না।
নোট বাতিলের কোনও প্রভাব কাশ্মীরি মুজাহিদিন, মাওবাদী ও খালিস্তানি জঙ্গিদের উপরে পড়বে না, তারা কোনওরকমের অর্থকষ্টে ভুগবে না। এমনটাই জানিয়েছে জঈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার।
নিজের দলীয় এক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে আজহার সাদি ছদ্মনামে লেখে। সেখানে সে লিখেছে, আমরা ডলার, পাউন্ড ও ইউরো ভাঙিয়ে ছোট অঙ্কের নোট জোগাড় করেছি। ফলে জেহাদিদের কোনও অসুবিধা হবে না।
জঈশ ই মহম্মদ দলের জেহাদি সেই ম্যাগাজিনের নাম কালাম। সেখানে নোট বাতিল নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার। লিখেছে, নোট বাতিলের ফলে তাদের কোনও অসুবিধা হবে না। একজন জঙ্গিও অর্থকষ্টে ভুগবে না। জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে ছোট মূল্যের নোট পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত ২৯ নভেম্বরের নাগরোটায় জঙ্গি হামলার ঘটনার উদাহরণ টেনে মাসুদ আজহার জানিয়েছে, এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে নোট বাতিলের সমস্যা আমাদের উপরে প্রভাব ফেলেনি। আমরা আর্থিক সমস্যা ছাড়াই হামলা চালাতে পেরেছি।
কীভাবে এমন সম্ভব হল? ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ওয়ান ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ডলার, ইউরো বা পাউন্ডকে কম মূল্যে ভাঙিয়েছে জঙ্গিরা। যেমন ধরা যাক, ডলারের দাম যদি এখন ৬৮ টাকা হয় তাহলে এক ডলার দিয়ে জঙ্গিরা ৪০ টাকা ঘরে তুলেছে। এভাবে কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেও জঙ্গি, জেহাদিদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে সহজেই।
তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রতি যে হামলা হয়েছে সেখানে জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর নতুন নোট উদ্ধার হয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, জঙ্গিদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে।