চিনের ঘরের অন্দরে করোনা সমস্যা কীভাবে লালিত-পালিত হয়েছে! কমিউনিস্ট যোগ নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস
জিনপিং প্রশাসন কীভাবে প্রবল দাপটে গোটা চিনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, সেই একনায়কতন্ত্রের ছবি বারবার স্পষ্ট হয়েছে। জিনপিংয়ের একছত্র ক্ষমতার জেরে পার্টির মধ্যে এমনকি প্রশাসনের মধ্যেও তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার সাহস নেই কারোর! এমনই দাবি বহু সূত্রের। এই পরিস্থিতিতে করোনার প্রকোপের মাঝে কীভাবে চিনের অন্দরে সংক্রমণের লালপালন হয়েছে দেখে নেওয়া যাক।
মার্কিন গোয়েন্দাদের বিস্ফোরক রিপোর্ট
মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট বলছে, চিনের অন্দরে জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন এলাকায় প্রবলভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে বেজিং এর প্রশাসনকে তা থেকে অজ্ঞাত রাখে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। বহু এলাকার করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য বেজিংকে জানানইনি চিনের বহু স্থানীয় প্রশাসন কর্তারা।
তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা
মার্কিন রিপোর্ট বলছে, চিনের হুবেই প্রভিন্স ও উহানে প্রশাসনিক কর্তারা গতবছর থেকে করোনা সংক্রান্ত তথ্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করে চিনে। উল্লেখ্য, এমন খবর ট্রাম্পের কানে গিয়েছে বহু আগেই, আর মনে করা হচ্ছে, সেই শুনেই ৪ জুলাইয়ের বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিনের ' গোপনীয়তা , চোখেধুলো দেওয়া ও কভার আপ' সম্পর্কে মুখ খোলেন।
চিনের স্থানীয় প্রশাসন কী জানায়নি?
চিনের স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা বেজিংয়ের থেকে ভর্ৎসনা পাবেন, আশঙ্কা করে করোনা সম্পর্কে প্রাথমিক খবর জাননইনি চিনের মুখ্য প্রশাসনিক কর্তাদের। এছাড়াও চিনের কমিউনিস্ট নেতাদের রীতিমতো সমঝে চলতেন । কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের থেকে সমস্যা আসতে পারে দেখে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা 'রোগ' লুকিয়েছেন! যে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীকালে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি বারবার করোনা নিয়ে কভার-আপ করার চেষ্টা করছে।
কমিউনিস্ট নেতারে বহিষ্কার ও কিছু তথ্য
মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এবছরের মাঝামাঝি চিনে বেশ কিছু কমিউনিস্ট নেতাদের পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় এলাকায় করোনার কথা গোপন করার জন্যই চিন সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সেই তথ্যও বেজিং বাইরে আসতে দিচ্ছে না।