ভারতে কোন সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র যোগান দিচ্ছে চিন! বিস্তারবাদের নেশায় বুঁদ বেজিং
উত্তরপূর্বের সীমান্তে ক্রমাগত অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এযাবৎকাল। উলফা, এনএসসিএন এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি বারবার রক্তক্ষয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল।
উত্তরপূর্বের সীমান্তে ক্রমাগত অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এযাবৎকাল। উলফা, এনএসসিএন এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি বারবার রক্তক্ষয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল। ভারতীয় সেনা তা নিয়ে পদক্ষেপ নিলেও ক্রমাগত মাথাচাড়া দিতে থাকে পর পর বহু সংগঠন। এক সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর অনুযায়ী, এই গোষ্ঠীগুলিকে নেপথ্যে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে চিন।
অস্ত্র সরবরাহ
ভারতকে অশান্ত রাখতে এতদিন পাকিস্তানি সন্ত্রাস দেখেছে গোটা দুনিয়া। এবার খবর চিন থেকে। এক সর্বভারতীয় পত্রিকার খবর অনুযায়ী, উত্তরপূর্ব সীমান্তে ভারত বিরোধি বিচ্ছিনন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে চিন থেকে। চিনের ইউনান প্রভিন্সের রুইলি থেকে আসছে এই অস্ত্র।
ভারতের পাশে মায়ানমার
সীমান্তে এই অস্ত্র কারবারি আর রক্তক্ষয় মেটাতে বারতের পাশে এসেছে মায়ানমার। সেদেশ এই বছরের মে মাসেই ২২ জন ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। এবার ভারত চাইছে লাদাখ পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সীমান্তে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করতে। আর সেই মর্মেই সেনা প্রধান নরভানে মায়ানমারে সফরে যাচ্ছেন। যাতে পরিস্থিতি সম্পর্কে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে সিদ্ধন্ত নেওয়া যায়।
পরেশ বরুয়া ও চিনা ইন্টালিজেন্স!
পত্রিকার রিপোর্ট বলছে অসমের উলফা গোষ্ঠীর নেতা পরেশ বরুয়ার সঙ্গে চিনা গোয়েন্দারে যোগাযোগ ছিল বহুকাল। পরেশের সঙ্গে চিনের ইউনান প্রভিন্সে চিনা গোয়েন্দাদের বৈঠকে বসতেও দেখা গিয়েছে বলে খবর। জানা যায়, চিনের এই ইন্টালিজেন্স অফিসাররাই ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাতে নাশকতায় মদত দিয়েছে।
মায়ানমারকে কেন পাশে চাইছে ভারত?
উত্তরূর্বের সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই রমরমা ঠেকাতে ভারতের প্রয়োজন মায়ানমারকে। যে মায়ানমার চিনের রাস্তা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রজেক্টে বহু কোটি টাকার চিনা বিনিয়োগের নিচে কূটনৈতিক চাপে রয়েছে। আর সেক্ষেক্রে পাকিস্তানের মতো মায়ানমারকেও চিন টাকার বদলে মুঠোবন্দি করবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
চিন সংহারে মায়ানমার-ভারত রুদ্ধদ্বার বৈঠক আসন্ন! কোন কূটনৈতিক ঘুঁটি সাজিয়েছে দিল্লি