নেপালকে আঙুলে নাচাচ্ছেন চিনের দূত ! ওলির নড়বড়ে গদি ঘিরে কোন রাজনীতি চলছে
নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি বিডি ভান্ডারির সাক্ষাৎকার ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়েছিল। আপাতভাবে জানানো হয় যে , এই সাক্ষাৎকারেল নেপালের কোভিড ১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাথ্য্ সংক্রান্ত ইমার্জেন্সি ঘোষণা প্রসঙ্গে হয়েছে। তবে মূলত, চিন-ভারত -নেপাল দ্বন্দ্ব নিয়ে ওলি নিজের অবস্থান জানাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন বলে খবর। এমন এক পরিস্থিতিতে চিন থেকে নেপালের মাটিতে পা রাখা চিনা রাষ্ট্রদূতের হাতে বড়সড় তুরুপের তাস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নেপালের রাজনৈতিক মল্ল যুদ্ধে চিন
এদিকে, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির ভিতর প্রবল সংঘাতের চিড় ধরতে শুরু করেছে। সেখানে নিজের মসনদ ছাড়তে যেমন নারাজ ওলি ,তেমনই তাঁকে মসনদ ছাড়া করতে বদ্ধপরিকর লির বিরোধি দাহাল শিবির। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে চিনের দূত পৌঁছতেই পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়।
সেনাও ওলির সমর্থনে নেই?
জানা গিয়েছে, নেপালের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যেদিন ওলি সাক্ষাতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ইমার্জেন্সি সংক্রান্ত আলোচনায় , সেদিন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে বেশি আগ্রহ দেখান রাষ্ট্রপতি ভান্ডারি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ইমার্জেন্সিতে সেনা মোতায়েন নিয়েও বেঁকে বসে রয়েছে নেপালের সেনা। সবমিলিয়ে সমস্যায় ওলি সরকার।
নেপালের রাজনীতিতে চিনের আস্ফালন
চিনের দূত নেপালে এসে , সেদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে চাইছে। তিনের দূত হউ ইয়াঙ্কি নেপালের এনসিপি নেতাদের এপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে চিনের তরফে। এর জবাবে নেপালের দাহাল শিবির জানিয়েছে, ওলি ছাড়াও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি চলতে পারবে।
চিন, নেপাল ও হিন্দুত্ব
এদিকে, নেপাল হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে নিজেকে শক্তিশালী করার পযথে এগোচ্ছে। অন্যদিকে, চিনের তরফে মাওবাদের পন্থা সেখানের রাজনীতিতে তুলে ধরছে চিন। এমন সংঘাতের মধ্যে পড়ে এই মুহূর্তে নেপালে করোনার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ওলির মসনদ সংকট।