পাকিস্তানের 'বড়দা-ই' বটে! বেছে বেছে উইঘুরদের স্মৃতিও নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে চিন সরকার
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নানা ভাবে শেষ করার চক্রান্ত করে চলেছে সেদেশের সরকার। সাত দশকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা ২৩ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে এসে নেমেছে।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নানা ভাবে শেষ করার চক্রান্ত করে চলেছে সেদেশের সরকার। সাত দশকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা ২৩ শতাংশ থেকে কমে ৩ শতাংশে এসে নেমেছে। সেভাবেই চিনেও একইভাবে সংখ্যালঘুদের ওপরে গোপনে নানা অত্যাচার সংগঠিত হয়। যা খুব একটা প্রকাশ্যে আসে না। অথচ দুই দেশ কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে ভারতকে নিশানা করে চলেছে।
গোরস্থান ধ্বংস
জানা গিয়েছে, চিন উইঘুর পরিবারের কবরস্থানগুলিকেও ধ্বংস করে ফেলছে। চিনের সরকার চাইছে শিজিয়াং প্রদেশ থেকেই এই জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলতে। ফলে মাত্র দুই বছরে এক ডজনের বেশি গোরস্থান ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার। তা উপগ্রহ চিত্রে ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ইতিহাস
কিছু কিছু জায়গায় গোরস্থানগুলিকে এত নির্মমতার সঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে যে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে মৃত কবরস্থিত ব্যক্তিদের হাড়গোড়, দেহাবশেষ। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, উইঘুরদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
উইঘুরদের অভিযোগ
যদিও প্রশাসনের বক্তব্য, নগরোন্নয়নের কারণেই পুরনো গোরস্থানগুলিকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যদিও উইঘুরদের পক্ষে সালিহ হুদায়র বলেছেন, এটা চিনের অভিসন্ধি। ইতিহাস থেকে আমাদের মুছে ফেলার চেষ্টা। তাঁদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুছে দিতে চাইছে সরকার।
অধিকারের লড়াই চিনে
চিনে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানেরা নিজেদের অধিকারের লড়াই লড়ে চলেছেন। তাদের অভিযোগ, চিন সরকার তাঁদের অস্তিত্ব ইতিহাস থেকে মিটিয়ে দিতে চাইছে।
ধ্বংস একের পর এক গোরস্থান
উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, ২০১৪ সাল থেকে চিন সরকার অন্তত ৪৫টি উইঘুর মুসলমানদের কবরস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে ৩০টিকে ধ্বংস করেছে গত দুই বছরের মধ্যে। এভাবেই উইঘুরদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সরকার।
তুঙ্গে চিন-আমেরিকা বিবাদ, ২৮টি চিনা কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করল আমেরিকা