For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

হঠাৎ কিভাবে একের পর এক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলছে

গত তিন সপ্তাহে বাংলাদেশে সীতাকুন্ড, সিলেট এবং মৌলভীবাজারে সন্দেহভাজন ১৪জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলেছে। কিন্তু হঠাৎ কিভাবে এতগুলি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মিলল?

  • By আকবর হোসেন - বিবিসি বাংলা, ঢাকা

সিলেটের আতিয়া মহলে র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল
BBC
সিলেটের আতিয়া মহলে র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল

ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ই মার্চ যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় একটি বাস থামায় পুলিশ।

সাধারণত মহাসড়কে পুলিশ যেভাবে তল্লাশি পরিচালনা করে এটি ছিল তার একটি অংশ। কিন্তু বাস থামানোর সাথে সাথেই দু'জন তরুণ আকস্মিকভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে মারে। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সে তরুণরা পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তাদের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক অভিযান চলে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, কুমিল্লার সে ঘটনা ছিল জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের একটি টার্নিং পয়েন্ট বা মোড় ঘুরানো বিষয়।

তিনি বলেন, ঢাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠনের পর থেকে জঙ্গিদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের নেটওয়ার্কগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়।

"আমরা ভাগ্যবান ছিলাম যে কুমিল্লায় হঠাৎ করে দুই জন জঙ্গি বাসে বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয়ে যায়," বলছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।

কর্মকর্তারা বলছেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় পুলিশের জঙ্গি-বিরোধী অভিযান জোরদার হয়। ফলে সন্দেহভাজনরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে।

মৌলভিবাজারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়
BBC
মৌলভিবাজারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়

গত তিন সপ্তাহে সীতাকুণ্ড, সিলেটের আতিয়া মহল এবং মৌলভীবাজারের দু'টি বাড়িতে 'জঙ্গি বিরোধী অভিযানে' ১৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে পুলিশ দাবী করছে। তাদের সাথে আরো পাঁচ শিশুও নিহত হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনজন সদস্যও নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধানও আছেন।

পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান মনে করেন, এসব 'জঙ্গি আস্তানা' চিহ্নিত করা সম্ভব না হলে দেশে বড় ধরনের বিপদ হতে পারতো।

মি: আহসান বলেন, "আমাদের যে বিগত কয়েকটি অভিযান হলো, সেগুলোর সাকসেস (সাফল্য) জনগণ বিচার বিশ্লেষণ করবে। আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি। তারা কতটা ভয়ংকর-বিধ্বংসী বিস্ফোরক নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল সেটা সবাই দেখেছে।"

সীতাকুণ্ড অভিযানের পরে ঢাকায় র‍্যাব ক্যাম্পের ভেতর এবং বিমানবন্দরে পুলিশ চেকপোস্টের সামনে বিস্ফোরণে দু'জন নিহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে নিহতরা বোমা বহন করছিল। যে অভিযানগুলো পরিচালনা করা হয়েছে সেখানে জীবিত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, পালাবার পথ খুঁজে না পেয়ে জঙ্গিরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানালেন, জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করছে। বিভিন্ন সময় গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে তিনি উল্লেখ করেন।

মি: ইসলাম বলেন, " এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে তাদের মূল টার্গেট এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা (জঙ্গিরা) তাদের সমস্ত পর্যায়ের লোক যারা আছে, যারা ফিল্ডে কাজ করছে - সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে যে কোন উপায়ে পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা করতে।"

English summary
How Bangladeshi RAB unearthing back to back terror dens
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X