উদারবাদ, বহুত্ববাদের দিন শেষ, জি২০ সম্মেলনের ঠিক আগে পুতিনের এই মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
জাপানের ওসাকা শহরে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় শক্তির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছেন এই উপলক্ষে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে। হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
জাপানের ওসাকা শহরে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় শক্তির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছেন এই উপলক্ষে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে। হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি ইতিমধ্যে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও ব্রিকস দেশগুলির নেতাদের সঙ্গেও মিলিত হয়েছেন।
উদারবাদ সংখ্যাগুরু মানুষের স্বার্থের বিরোধী, বললেন পুতিন
তবে দু-দিনব্যাপী জি২০ শীর্ষসম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই একটি তাৎপর্যপূর্ণ কাণ্ড ঘটিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ওসাকা সম্মেলন শুরু হওয়ার আগের দিন ফিনান্সিয়াল টাইমস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পুতিন মন্তব্য করেন যে উদারবাদ এবং বহুত্ববাদের মতো আদর্শের দিন গত। পাশাপাশি ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে পপুলিস্ট ধারার সূচনা ঘটেছে, তার প্রশংসাও করেন।
শরণার্থীদের প্রতি নরম অবস্থান নেওয়ায় মের্কেলকে দুষলেন পুতিন
"তথাকথি উদারবাদের দিন শেষ। এখন মানুষের বৃহত্তর অংশের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে উদারবাদের আদর্শ," মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান এই নেতা। এই মর্মে ছেষট্টি বছর বয়সী পুতিন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সমালোচনা করে বলেন যে তিনি তাঁর দেশে ১০ লক্ষ শরণার্থীকে ঢুকতে দিয়ে অত্যন্ত বড় ভুল কাজ করেছেন।
পাশাপাশি, আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে "প্রতিভাবান" আখ্যা দিয়ে তিনি তাঁর প্রশাসনের মেক্সিকো থেকে আগত শরণার্থীদের স্রোত সীমান্তে বন্ধ করে দেওয়ার জন্যেও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পুতিনের সমালোচনায় ইইউ-র প্রধানের
জি২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে পুতিনের এমন মন্তব্য চারদিকে সারা ফেলে দেয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক এই বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রপতিকে তুলোধোনা করেন। "ওনার কথা শুনে মনে হচ্ছে স্বাধীনতা এখন অতীত, আইনের শাসন অতীত এমনকি মানবাধিকারও অতীত," সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন টাস্ক।
একটি বিবৃতিতে টাস্ক বলেন যে তাঁরাও ওই সম্মেনলনে ইউরোপের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং তাঁরা উদারবাদী গণতন্ত্রেরই পক্ষে কথা বলতে এসেছেন। "আমার কাছে বর্জিত হচ্ছে একনায়কবাদ," তিনি বলেন পুতিনকে পরোক্ষে নিশানা করে।
সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই এমন উত্তপ্ত পরিবেশ বুঝিয়ে দেয় যে এবারের জি২০-তে খুব বেশি ভাতৃত্ববোধ হয়তো নাও দেখা যেতে পারে। কারণ, ইতিমধ্যেই, বাণিজ্য, পরিবেশ এবং বিদেশনীতি নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতানৈক্যের পারদ চড়ছে।