চিনের রহস্যজনক করোনা ভাইরাস পরিসংখ্যানের নেপথ্যে লুকিয়ে কোন তথ্য? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি
করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই আবহেই এই ভআইরাস নিয়ে চলছে রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক স্তরে চাপানউতোর। কীভাবে এবং কোথায় এই ভাইরাসের উৎপত্তি, সে প্রশ্ন এখন চিন ও আমেরিকার মধ্যে প্রচারণা যুদ্ধের একটা বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তবে চিনের করোনা পরিসংখ্যান যে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। যে দেশ এক অজানা ভাইরাসের উৎস! সেদেশে এত কম মানুষ কী কে প্রাণ হারায়?
কী বলছে চিনা পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান বলছে চিনে মোট ৮৪ হাজার ১৬৫জন করোনা আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে মারা যায় মাত্র ৪ হাজার ৬৩৪ জন। বর্তমানে সেখানে মাত্র ৫৭৪টি অ্যাকটিভ কেস রয়েছে। প্রশ্ন এখানেই। সারা বিশ্বে যেখানে ১৭ মিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে, সেখানে চিন কীভাবে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করল?
করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে রহস্য
করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে চিনের দিকেই বারবার আঙুল উঠেছে। আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে চিনকে নিয়ে। তথ্য চেপে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে ইউহান-এ হুনান ওয়াইল্ড লাইফ মার্কেট থেকেই করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানতে পারা যায়। আর তাই আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপারে সরাসরি দায়ী করেছে চিনকে।
তথ্য লুকোচ্ছে চিন
এদিকে অনেকেরই মত, চিনে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আমেরিকার সুরে হলা মিলিয়ে অনেকেরই মত, চিন তথ্য লুকিয়েছে। সেই জল্পনা সম্প্রতি আরও দৃঢ় হয় এক চিকিৎসকের দাবিতে। হংকংয়ের সেই চিকিৎসকের দাবি, হুনান প্রদেশে বুনো জন্তু-জানোয়ারের বাজার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য রাতারাতি লোপাট করে দিয়েছে চিন। অথচ উহানের এই বাজারকেই করোনাভাইরাসের প্রাথমিক এপিসেন্টার বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রমাণ লোপাট করেছে চিন
হংকংয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফিজিসিয়ান তথা সার্জেন্ট কোক ইয়ুঙ ইউয়েনের বক্তব্য, 'তাঁরা যখন যান তার আগেই বাজার ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমার সন্দেহ ওরা উহান প্রদেশে যা কিছু ঘটেছিল, বিশ্বের অগোচরে সেসব একেবারে ধামাচাপা দিতে চাইছে। ওখানকার আঞ্চলিক সরকারি আধিকারিকরাও সেভাবে কিছুই বলতে চাইছেন না বা তাঁদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না।'
কী বলেন হংকংয়ের চিকিৎসক?
অধ্যাপক ইযুঙ বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে হুনান সুপারমার্কেটে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কিছুই দেখতে পাইনি,কারণ সব কিছু ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনাস্থলের কোনও অস্তিত্ব, চিহ্নই আর রাখেনি।' ফলে কোন প্রাণীর শরীর থেকে এই ভাইরাস এসেছে, তা বোঝা যায়নি। আর এতেই চিনের উপর আরও সন্দেহ বাড়ছে এই ভাইরাস নিয়ে।