জাপানি মহিলাকে জোর করে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে বাধ্য করল হংকং বিমান সংস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের
উত্তর
ম্যারিয়ানা
দ্বীপপুঞ্জের
সাইপানে
যাওয়ার
আগে
এক
জাপানি
মহিলাকে,
তিনি
গর্ভবতী
কিনা
তা
জোর
করে
পরীক্ষা
করা
হল।
এই
ঘটনার
জন্য
ওই
মহিলার
কাছে
ক্ষমা
চেয়েছে
হংকংয়ের
বিমান
সংস্থাটি।
জানা
গিয়েছে,
সাইপানে
সন্তান
জন্ম
দিলে
সেই
শিশুরা
সহজেই
যুক্তরাষ্ট্রের
নাগরিকত্ব
পায়।
সাইপান দ্বীপে গিয়ে বিশ্বের অনেক দেশের নারীরাই সন্তান প্রসব করে থাকেন। জানা গিয়েছে, মিদোরি নিশিদা নামে হংকং এক্সপ্রেস এয়ার ওয়েজের ২৫ বছরের এক মহিলা যাত্রী নভেম্বরে সাইপানে যাওয়ার জন্য বিমানে চড়ার আগেই একটি প্রশ্নোত্তর ফর্ম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু এরপরও তাকে বিমানের কর্মীরা ধরে বাথরুমে নিয়ে যায় অন্তঃসত্ত্বার পরীক্ষা করার জন্য। তাঁর হাতে একটি স্ট্রিপ ধরিয়ে দিয়ে তাতে মূত্রত্যাগ করতে বলা হয়। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায় যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। মহিলা যাত্রী এই ঘটনায় খুবই অপমান বোধ করেন এবং তা হতাশাজনক বলে জানান। সাইপানে ওই মহিলার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এবং ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার সেখানে থাকেন। ওই মহিলার অভিযোগ, বিমানসংস্থায় এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
ঘটনার অনেক পরে বিমান সংস্থা তাঁর কাছে ক্ষমা চায়। তবে এই ঘটনার পর বিমান সংস্থাটি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আর কোনো গর্ভবতী নারীর প্রতি এই ধরনের আচরণ করা হবে না। বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আমরা উত্তর ম্যারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃপক্ষের উদ্বেগের প্রেক্ষিতেই গর্ভবতী নারীদের ওই দ্বীপে যাওয়া সীমিত করতে চেয়েছিলাম।’
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে প্রায় ৬০০ শিশু এই সাইপানে জন্ম নেয় এবং আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়ে যায় তারা। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের থেকে জানা গিয়েছে, এই শিশুগুলির মধ্যে ৫৭৫ জন শিশুর মা চিনা।