বাংলাদেশের গুলশানে রক্তাক্ত সন্ত্রাস হামলায় দোষীদের কোন শাস্তির ঘোষণা
২০১৬ সালের ১ লা জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিসান ক্যাফেতে আচমকা এক অভিশপ্ত সন্ধ্যায় এলোপাথারি গুলি করতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। মুহূর্তে গুলিতে ঝঁঝরা হয়ে মৃত্যুর কোল ঢোলে পড়েন ২০ জন ।
২০১৬ সালের ১ লা জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিসান ক্যাফেতে আচমকা এক অভিশপ্ত সন্ধ্যায় এলোপাথারি গুলি করতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা। মুহূর্তে গুলিতে ঝঁঝরা হয়ে মৃত্যুর কোল ঢোলে পড়েন ২০ জন । যাঁদের মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশী।
এদিন সেই সেই মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত ৭ জনকেই প্রাণদণ্ডের সাজা দেয় বাংলাদেশ অ্যান্টি টেররিস্ট কোর্ট। ঢাকার এই আদালতের নির্দেশে এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে ১ জনকে। প্রসঙ্গত, যারা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তারা মূলত ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী। মামলা ঘিরে সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, সরাসরি হামলা না চালালেও যেভাবে নরহত্যায় দোষীরা মদত দিয়েছে, তাতে এমন রায়ই প্রাপ্য ছিল। আদালতের এই রায়ে তাঁরা খুশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের রায়ে, হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রেগান, আসলাম হোসেন রাশ, আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেদ, মামুনূর রশিদ রিপন, জাহাঙ্গিরদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। প্রসঙ্গত, এই অভিযুক্তদের সঙ্গে বাংলাদেশের জামাত উল মুজাহিদ্দিনের যোগ রয়েছে। আর সেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশী আইএস সংযুক্তভাবে ঢাকার ক্যাফেতে এই হামলা চালায়।