পাকিস্তানে গিয়ে বিপদে হিন্দু শরণার্থীরা! করোনার মাঝে ফুরিয়েছে ভিসার মেয়াদ, ভারতে ফিরবেন কীভাবে?
করোনাকালে পাকিস্তানে আটকে পড়েছেন বহু হিন্দু। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা বা 'নো অবজেকশন রিটার্ন টু ইন্ডিয়া' ভিসায় পাকিস্তানে গিয়ে লকডাউনের জেরে আর ভারতে ফেরা হয়নি তাঁদের। তবে এখন ভারতে ফিরতে মরিয়া তাঁরা! কারণ ইতিমধ্যেই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে তাদের। সাধারণ এই ধরনের ভিসার মেয়াদ ৬০ দিন হয়।
দেশভাগের যন্ত্রণা
১৯৪৭ সালে যখন দেশভাগ হয়, তখন দেশ, রাজ্যের পাশাপাশি ভাগ হয়েছিল বহু পরিবার। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিল বহু হিন্দু, শিখ। তবে অনেকেই সেই সময় কোনও কারণে আসতে পারেননি, বা চাননি। তবে পড়ে পাকিস্তানের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেকেই এসেছেন ভারতে। আবার অনেকেই পরিবারের অধিকাংশকে সেখানে ফেলে রেখেই এসেছেন ভারতে। এহেন পাকিস্তানি শরণার্থীদদেরই নো অবজেকশন রিটার্ন টু ইন্ডিয়া ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে সেদেশে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি স্বরূপ।
ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে পাকিস্তানে আটকে বহু
এই নো অবজেকশন রিটার্ন টু ইন্ডিয়া ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকায় অনেক হিন্দু শরণার্থীরাই ফিরতে পারছেন না ভারতে। এদেরই মধ্যে একজন হলেন জনতা মালি। তিনি ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তান থেকে গিয়ে যোধপুরে থাকেন। লকডাউন জারির আগে পাকিস্তানে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মালি।
বিদেশমন্ত্রকে আবেদন রাজস্থান সরকারের
এদিকে মালির স্বামী ও শন্তানরা ফিরে এলেও ভারতে ফিরতে পারেননি মালি। প্রসঙ্গত, মালির স্বামী ও শন্তানরা ভারতীয় নাগরিক। এদিকে মালির ভিসার মেয়াদও ফুরিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই আবহে তিনি ভারতে কীভাবে ফিরবেন তা স্পষ্ট নয়। কারণ বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। এই বিষয়ে রাজস্থান সরকারের তরফে গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকে আবেদন জানানো হয়েছিল।
নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা
এদিকে সমস্যা হল, সাধারণত পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা ভারতে থাকতে থাকতে নাগরিকত্বের জন্যে উপযুক্ত হলে আবদেন জানান। এর মাঝে তাঁরা পাকিস্তানে যেতে পারেন, তবে সেই সময় পাকিস্তানে থাকার সর্বোচ্চ মেয়াদ হতে পারে ৬০ দিন। তবে নো অবজেকশন রিটার্ন টু ইন্ডিয়া ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েও যদি তাঁরা পাকিস্তানে থেকে যান, তবে সেই ক্ষেত্রে তাঁদের নতুন করে ভিসার জন্যে অ্যাপ্লাই করতে হয়। আর তা করলে বিগত সময়ে ভারতে কাটানো তাঁদের সময়কাল আর ধরা হয় না। এবং ভারতীয় হওয়ার জন্যে তাঁদের আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।
করোনা পরীক্ষার নিরিখে বড় রাজ্যগুলির মধ্যে একেবারে তলানিতে বাংলা, পিছিয়ে বিহারের চেয়েও