বাংলাদেশ : ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ধুন্ধুমার, ১৫টি মন্দির, ১৫০টির বেশি বাড়ি ভাঙচুর
হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক যুবক ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরের সঙ্গে হিন্দু দেবতা শিবের একটি ছবি রয়েছে। এই ঘটনার পরই রসরাজের উপরে আক্রমণ হয়।
ঢাকা, ১ নভেম্বর : একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রবিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল বাংলাদেশের কুমুল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। অভিযোগ ইসলাম বিরোদী পোস্ট করার কারণে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপরে হামলা চালায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ১৫টি মন্দির ও কালী পুজো মন্ডপ এবং প্রায় ১৫০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। [হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে ফাঁস হওয়া আটকান এই উপায়ে]
কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাসিরনগর উপজেলা। এখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অনেকগুলি পাড়া রয়েছে। সেখানেই এই হামলা চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। [ফেসবুকে প্রতারিত হচ্ছেন তা বোঝার সহজ উপায়]
স্থানীয় হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাস নামে এক যুবক ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরের সঙ্গে হিন্দু দেবতা শিবের একটি ছবি রয়েছে। এই ঘটনার পরই মুসলিমরা ক্ষিপ্ত হয়ে রসরাজের উপরে আক্রমণ করে। [ফেসবুকের এই লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলি নিশ্চিত আপনার অজানা]
পুলিশ এসে রসরাজকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করলেও সেখানে মামলা থেমে থাকেনি। বেশ কয়েকটি মুসলমান সংগঠন এলাকা বিক্ষোভ দেখালে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। স্থানীয় ঘোষ পাড়া, মহাকাল পাড়া, কাশি পাড়া, নমশুদ্র পাড়া, মালি পাড়া, শীল পাড়ায় হিন্দুদের উপরে হামলা চালানো হয়। [ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়]
হামলার তদন্তে নেমে বাংলাদেশ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা ও মোট ৯ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এবং জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে।