পাকিস্তানে ভস্মীভূত হিন্দু মন্দির, বলবৎ কার্ফু
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শনিবার এক ব্যক্তি প্রকাশ্য স্থানে কোরান শরিফে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। জনতা তাড়া করলে লোকটি পালিয়ে যায়। কিন্তু এখানেই ঘটনায় দাঁড়ি পড়েনি। রাতে একদল উন্মত্ত জনতা লাঠি, তলোয়ার, ভোজালি নিয়ে হামলা চালায় লারকানা শহরের জিন্না বাগের হিন্দু মহল্লায়। হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জিন্না বাগের হিন্দু মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় পুরোহিতকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মন্দির লাগোয়া ধর্মশালাটি। ধর্মশালায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন। পুলিশ এসে প্রথমে লাঠি চালালেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। শেষে শূন্যে গুলি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বলবৎ করা হয় কার্ফু।
স্থানীয় হিন্দুদের সংগঠনের তরফে কল্পনা দেবী বলেন, "যে লোকটা এই জঘন্য কাজ করেছে, সে হিন্দুদের কলঙ্ক। আমি ওকে চিনি। ড্রাগ নেয়। যেখানে-সেখানে বেহুঁশ হয়ে পড়ে থাকে। লারকানার হিন্দুরা স্মরণাতীত কাল থেকে মুসলিম ভাইদের সঙ্গে মিলেমিশে আছে। হিন্দুরা কখনও অন্য ধর্মকে অপমান করার কথা ভাবতেও পারে না।"
পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু মন্দিরে হামলার পিছনে নিশ্চিতভাবে কোনও পাকা মাথা উসকানি দিয়েছে। সে কে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, হিন্দুদের নিরাপত্তায় জিন্না বাগে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।