ইউরোপ থেকে আফ্রিকা, প্রবল তাপের জেরে দাবানলে পুড়ছে দেশ
Array
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্স এবং স্পেনে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে। সৌজন্যে ইউরোপের প্রবল গরম। প্রবল তাপমাত্রা ইউরোপের কিছু অংশকে কার্যত ছারখার করে দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যার জেরেই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে।
দাবানল
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ফ্রান্সের গিরোন্ডে অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১২০০-রও বেশি দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই করেছে। গিরোন্দে ল্যাঙ্গনের ডেপুটি প্রিফেক্ট ভিনসেন্ট ফেরিয়ার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "যতক্ষণ না এটি স্থিতিশীল না হয় ততক্ষণ ছড়িয়ে পড়তে থাকবে।" সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ফ্রান্সের পাশাপাশি পর্তুগাল এবং স্পেন সহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতে দাবানল দেখা গিয়েছে এবং শনিবার গিরোন্ডে অঞ্চলে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগুন লেগে যায়। শুক্রবারের তা ৭,৩০০ হেক্টর ছিল।
আবহাওয়া সতর্কতা
সর্বশেষ আবহাওয়া সতর্কতায়, ফ্রান্সের ৯৬ টি বিভাগের মধ্যে ৩৮টিতে "কমলা" সতর্কতায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার কথা জানানো হয়েছে। সোমবার পশ্চিম ফ্রান্সে তাপপ্রবাহের আরও বাড়বে, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) এর উপরে উঠবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। প্রতিবেশী স্পেনে, অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা সেখানকার তাপমাত্রা ৪৫.৭ সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় পর ধারাবাহিকভাবে দাবানলের সাথে লড়াই করছিলেন। কার্লোস III হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় সপ্তাহব্যাপী তাপপ্রবাহের কারণে ৩৬০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বাড়ি ঘর ছাড়া বহু মানুষ
উত্তর ইউরোপীয় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় মালাগা প্রদেশের একটি শহর মিজাসের কাছে একটি বড় দাবানলের কারণে ৩০০০ এরও বেশি লোককে বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনটাই খবর মিলেছে স্থানীয় সূত্রে। অনেককে একটি দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। ৮৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ পেনশনার জন প্রিটি বলেন, "পুলিশ তাদের সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। তবে কোথায় যেতে হবে তার কোনো নির্দেশ দেয়নি"।"এটা ভয়ঙ্কর কারণ আপনি জানেন না কী ঘটছে," বলেছেন বেলজিয়ামের বাসিন্দা জিন-মারি ভ্যানডেলানোট। একই অবস্থা স্পেনেও।
ক্যাস্টিল এবং লিওনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে এবং উত্তরে গ্যালিসিয়াতেও আগুন জ্বলছিল৷ পর্তুগালে বিগত কয়েকদিন তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছানোর পরে শনিবার দেশের বেশিরভাগ অংশে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে ৭ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাপপ্রবাহের ফলে ২৩৮ জন মারা গিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ।
মরক্কো
ইউরোপ
থেকে
ভূমধ্যসাগর
পেরিয়ে,
মরক্কোর
দাবানল
লারাচে,
ওয়াজানে,
তাজা
এবং
তেতুয়ানের
উত্তরাঞ্চলের
২০০০
হেক্টরের
বেশি
জঙ্গলকে
পুড়িয়ে
ফেলেছে।
১০০০-এরও
বেশি
পরিবারকে
তাদের
গ্রাম
থেকে
সরিয়ে
নেওয়া
হয়েছে।
জল
বহনকারী
বিমানগুলি
শুক্রবার
রাতের
মধ্যে
বেশিরভাগ
দাবানল
নিভিয়ে
ফেলতে
সাহায্য
করেছিল,
যদিও
দমকলকর্মীরা
এখনও
লারাচে
কাছাকাছি
তিনটি
হট
স্পট
নিভানোর
জন্য
লড়াই
করছে।
ব্রিটেনে,
জাতীয়
আবহাওয়ার
পূর্বাভাসদাতা
সোমবার
এবং
মঙ্গলবার
ইংল্যান্ডের
কিছু
অংশে
লাল
সতর্কতা
জারি
করা
হয়েছে।