শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ৫০ জন ছাত্রের চুল কেটে দিল প্রধান শিক্ষক
শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ৫০ জন ছাত্রের চুল কেটে দিল প্রধান শিক্ষক
পড়ুয়াদের শৃঙ্খলা শেখাতে তাদের চুল কেটে দিল এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাংলাদেশের এক শহর।
শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে ছাত্রদের চুল কেটে দিল
এই দেশের বরাইগ্রাম শহরের জোয়ারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলি রবিবার ছাত্রদের চুল কেটে দেন নাপিতের কাঁচি দিয়ে। স্থানীয় পুলিশ দীলিপ কুমার দাস জানান, এই ঘটনার পর পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ‘প্রধানশিক্ষক কিছু না ভেবেই পড়ুয়াদের মাথায় কাঁচি চালাতে শুরু করে দেন। তিনি প্রায় ৫০ জনের চুল কেটে দিয়েছেন। বেশ কিছু পড়ুয়া জানিয়েছে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তারা আহত হয়েছে।' ৬০ বছরের ওই প্রধান শিক্ষক পুরনো স্কুলের নিয়ম মেনে চলার মানসিকতায় বিশ্বাসী। তিনি পড়ুয়াদের বড় চুল রাখা দেখে তাদের বিশৃঙ্খল পড়ুয়া বলে অভিহিত করেন এবং চুল কেটে দেন।
প্রতিবাদে সরব অভিভাবক
এই ঘটনায় শহরে প্রতিবাদ শুরু হয়। একশোরও বেশি পড়ুয়া, অভিভাবক এবং স্থানীয়রা জমায়েত হয় স্কুলের মাঠে এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানায়। শহরের প্রশাসকের কাছে পড়ুয়ারা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ওই প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। প্রশাসক আনওয়ার পারভেজ জানিয়েছেন এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে শাস্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা
১৬৮ মিলিয়ন মানুষের রক্ষনশীল দেশে প্রাথমিক ও হাইস্কুলে বেত্রাঘাত, উবু হয়ে থাকা ও ব্যাঙের মত লাফানোর শাস্তি রয়েছে। ২০১১ সালে এক ছাত্র বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে এরপরই সরকার স্কুলে সব ধরনের মানসিক ও শারীরিক শাস্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বলা হয় এ ধরনের শাস্তি অমানবিক, নিষ্ঠুর ও অপমানকর। জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের দোষ প্রমাণিত হলে তিনি তাঁর চাকরি হারাবেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু হবে।