জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত ২৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে
জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত ২৪টিরও বেশি মামলা রয়েছে হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে
গুজরানওয়ালার সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগ (সিটিডি) পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জামাউত দাওয়ার (জেএইডি) প্রধান হাফিজ সইদ ও অন্যান্য জেএইডি নেতাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আর্থিক সহায়তা করার অভিযোগ আনে। পাকিস্তানের সন্ত্রাস–বিরোধী আদালতে হাফিজ সহ অন্যান্যদের অভিযুক্ত করা হয়।
জেইউডি নেতৃত্বকারী হাফিজের বিরুদ্ধে ২৪টিরও বেশি জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা সংক্রান্ত এবং অর্থ তছরূপের মামলা পাঁচটি শহরে দায়ের করা রয়েছে। সুরক্ষার কথা ভেবে সব মামলাগুলিকে লাহোরের সন্ত্রাস–বিরোধী আদালতে জমা করা হয়েছে। সিটিদি গুজরানওয়ালার দায়ের করা মামলায় এটিসি বিচারকের সামনে পেশ করা হয় হাফিজ সহ অন্য নেতাদের। যদিও বিচারকের সামনে তারা কেউই এই অভিযোগ নিজের ঘাড়ে নিতে অস্বীকার করে। এরপরে আদালত জেইউডি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং ২১ ডিসেম্বর প্রসিকিউশন সাক্ষীদের তলব করে। প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩ জুলাই জেইউডির শীর্ষ ১৩জন নেতার বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস–বিরোধী আইনে ২৪টিরও বেশি জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা ও অর্থ তছরূপের মামলা দায়ের করা হয়। সিটিডির পক্ষ থেকে পাঞ্জাবের পাঁচটি শহরে জেইউডি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
সিটিডি জানিয়েছে যে জেইউডি জঙ্গিদের যে অর্থ সহায়তা করে, সেই অর্থ তারা সংগ্রহ করে আল–আনফাল ট্রাস্ট, দাওয়াতুল ইরশাদ ট্রাস্ট, মুয়াজ বিন জবাল ট্রাস্ট ইত্যাদি অলাভজনক সংগঠন ও ট্রাস্টের থেকে। সিটিডির তদন্ত করে দেখেছে যে এই সব সংগঠন ও ট্রাস্টের সঙ্গে জেইউডির শীর্ষ নেতীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। পাকিস্তান থেকে জেইউডি অর্থ সংগ্রহ করে বিরাট সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। এইসব অলাভজনক সংগঠনগুলিকে এ বছরের এপ্রিলেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই হাফিজ সইদকে পাঞ্জাব সিটিডি গুজরানওয়ালা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে গুজরানওয়ালার এটিসিতে পেশ করা হলে হাফিজকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি মালিক জাফার ইকবাল, আমির হামজা, মহম্মদ ইয়াহা আজিজ, মহম্মদ নইম, মহসিন বিলাল, আবদুল রাকিব, ডঃ আহমেদ দাউদ, ডঃ মুহাম্মদ আয়ুব, আবদুল্লা উবেদ, মহম্মদ আলি এবং আবদুল গফর সহ শীর্ষ জেইউডি নেতাকেও একই মামলায় জেলে পাঠানো হয়। যদিও হাফিজ জানিয়েছিল যে তাদেরকে লস্কর–ই–তৈবার নেতারা ভুলভাবে ফাঁসিয়েছে।
CAA-র প্রতিবাদে উত্তাল ভারত, পর্যটনে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা