এইচ৪ ভিসার মালিকরাও স্বস্তিতে নেই আমেরিকায়, চাকরি হারানোর ভয় তাড়া করছে সর্বক্ষণ
এইচ৪ ভিসা নিয়েও আলোচনা ও চিন্তা রয়েছে অবশ্যই। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সেই ভিসাধারীদেরই চিন্তার ফেলে দিয়েছে।
এইচ ১বি ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নানা বিতর্ক চলছে। তবে এইচ৪ ভিসা নিয়েও আলোচনা ও চিন্তা রয়েছে অবশ্যই। সাধারণত এই ভিসা পেয়ে থাকেন এইচ ১বি ভিসার পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি তাঁরাও ছোটখাটো কাজ করার সুযোগ খুঁজে নিতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সেই ভিসাধারীদেরই চিন্তার ফেলে দিয়েছে। চাকরি যাওয়া তো বটেই বিতারিত হওয়ার ভয়ও তাড়া করছে এইচ ১বি ভিসাধারীদের পরিবারকে।
২০১৫ সালে বারাক ওবামা প্রশাসনের শেষ পর্যায়ে এইচ৪ ভিসাধারীদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ কেউ চাকরি করতে চাইলে এই ভিসা থাকলেও চাকরি করতে পারবেন। তবে বর্তমানে প্রতিবছর তা পুনর্নবীকরণ করতে হয়। সেটাই ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তা নিয়ে টালবাহনা করছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী জুনেই এই ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। তার আগে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ এই ভিসা থাকলে কেউ নিয়ম মেনে কোথাও চাকরি করতে পারবেন না। এই ভিসাধারীদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় রয়েছেন। বেশিরভাগই মহিলা যাঁরা স্বামীর এইচ ১বি ভিসার দৌলতে সেদেশে গিয়ে এইচ৪ ভিসা পেয়ে চাকরি করছেন। তাঁরা বিপদে পড়তে চলেছেন। অনেকে স্বাধীনভাবেও থাকতে শুরু করেছিলেন। যা নিয়ম বন্ধ হয়ে গেলে আর পারবেন না।
সাধারণত এইচ ১বি ভিসার মালিক ব্যক্তিদের স্ত্রীদের এইচ৪ ভিসা দেওয়া হয়। তবে তাঁদের ব্যবসা বা চাকরি করার শর্ত রয়েছে। প্রথমে ইএডি বা এমপ্লয়মেন্ট অথোরাইজেশন ডকুমেন্টের জন্য আবেদন করতে হয়। আবার এইচ ১বি ভিসাধারী গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করার যোগ্য হলে তবেই স্ত্রীরা ইএডি-র আবেদন করতে পারেন।
এই অবস্থায় লক্ষ লক্ষ এইচ৪ ভিসাধারী আমেরিকায় বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয় তার উপরে তাদের জীবন নির্ভর করছে।