ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলিতে ট্রাম্পের H1B ভিসা নীতি কোন প্রভাব ফেলতে পারে! ন্যাসকমের প্রবল সমালোচনা
ভারতীয় আইটি সংস্থাগুলিতে ট্রাম্পের H1B ভিসা নীতি কোন প্রভাব ফেলতে পারে! ন্যাসকমের প্রবল সমালোচনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এইচ ওয়ান বি ভিসা নীতির জেরে প্রবল ক্ষোভে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার একটা বড় অংশ। আইটি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকম এদিন ট্রাম্পের নীতির প্রবল সমালোচনা করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মার্কিন এই নয়া নীতি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন নীতি ও ভারত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচ ওয়ান বি ভিসা ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কেবলমাত্র মেধাভিত্তিক অভিবাসনেই জোর দিয়ে মার্কিন সরকার এগিয়ে যেতে চাইছে। যার জেরে ভারতের ৮৫ হাজার জনের ওপর প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এঁরা এই ভিসা ইতিমধ্যেই ইস্যু করেছেন। যেখানে এই ভিসার আবেদনকারীর সংখ্যা ২,২৫০০ জন।
ভারতের আইটি ক্ষেত্রে প্রভাব
ট্রাম্পের এই নীতি শুধুমাত্র ২০২০ সালের জন্যই আপাতত স্থির হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই নীতি যদি ২০২০ সালের পরও চলতে থাকে, তাহলে ভারতের পক্ষে সমস্যা বাড়ছে। কারণ টিসিএস সহ একাধিক নামী ভারতীয় আইটি সংস্থার বহু কর্মী মার্কিন মুলুকে কাজ করে থাকেন। টিসিএস জানিয়েছে, মার্কিন মুলুকে তাদের ২০ হাজার কর্মী রয়েছেন পে রোল-এ। ফলে ভিসা নীতি তাঁদের সংস্থার কাজ কর্মের ধরণে খানিকটা হলেও প্রভাব বিস্তার করবে।
ন্যাসকমের সমালোচনা
ন্যাসকমের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ 'দিকভ্রষ্ট'। এই ভিসা এই বছর পর্যন্ত বাতিলের জেরে বহু মেধার অপচয় ঘটবে বলে মন্তব্য করেছে ন্যাসকম। এর আগেও মার্কিন চেম্বার অফ কমার্সের সঙ্গে মিলে ন্যাসকম ট্রাম্প সরকারকে বহুবার এই ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ জানায়। সেই সময় দাবি করা হয়, এইভাবে অভিবাসন নীতি নির্ধারিত হলে তা শিল্প জগতে, ও প্রজেক্টে প্রভাব পড়বে।
মার্কিন সংস্থাগুলির রোষানলে ট্রাম্প
এদিকে, ট্রাম্পের এই নীতির প্রবল সমালোচনা করেছেন গুগল-এর সিইও সুন্দর পিচাই। সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট টুইটারও ছেড়ে কথা বলেনি ট্রাম্পকে। তবে, মার্কিন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলা বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই সমস্ত বিষয়কে আমল দিতে আপাতত নারাজ।
চিনকে রণাঙ্গনে দুরমুশ করতে লাদাখে ভারতের নয়া চাল! ইজরায়েলের ড্রোন নিয়ে সেনা এগোচ্ছে কোন ছকে