ফ্রান্সে জোড়া জঙ্গি হামলা, মৃত ২, জখম ১, নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গি
দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি সুপার মার্কেটে বন্দুকবাজের হামলা। ওই বন্দুকবাজ বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করেছে বলে খবর।
ফের সন্ত্রাসের আতঙ্ক ফিরল ফ্রান্সে। শুক্রবার ভারতীয় সময় বেলা ৩.৩০টা নাগাদ জোড়া হামলার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ফ্রান্সের কারকাসসোনে এবং ট্রেবেস শহরে। এই ঘটনায় অন্তত ২ জনের এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে। কারকাসসোনেতে জগিং করার সময় পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। এতে এক পুলিশকর্মীর কাঁধে গুলি লাগে। তবে তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আঁততায়ী এরপর ১৫মিনিট দূরত্বের ট্রেবেস শহরের একটি সুপার ইউ মার্কেটে হামলা করে।
এক বন্দুকবাজ সুপার ইউ মার্কেটে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েক জনকে পণবন্দি করে। এঁদের মধ্যে কয়েক জন পুলিশও ছিল। এখানেই পণবন্দি ২ পুলিশকে বন্দুকবাজ গুলি হত্যা করে। সুপার ইউ মার্কেটের ভিতরে থাকা বন্দুকবাজ নিজেকে আইসিস-এর অনুরক্ত বলে ঘোষণাও করে। সুপার ইউ মার্কেটের ভিতরে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর জেরেই ২ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে হামলা এমন সময় হয়েছিল যখন ফ্রান্স সবে সকালের আড়মোড়া ভেঙে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে সেই সময়। ফলে, হামলার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। এরপরই পুলিশ সুপার ইউ মার্কেট ঘিরে ফেলে। চারপাশের এলাকাকেও কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এই মুহূর্তে পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দুকবাজের। হামলাকারী মরক্কোর বাসিন্দা বলেই মনে করা হচ্ছে।
হামলাকারীর সঙ্গে প্রচুর গোলা-বারুদ এবং স্বয়ংক্রিয় সব আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এমনকী, প্যারিস হামলার মাস্টার মাইন্ড ধৃত সালাহ আবদেসালেমের মুক্তির দাবিও জানিয়েছিল ওই হামলাকারী। ২০১৩ সালে ১৩ নভেম্বর প্যারিসে যে জঙ্গি হামলায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত এই সালাহ আবদেসালেম।
ফরাসী প্রাইম মিনিস্টার এডওয়ার্ড ফিলিপ এই হামলাকে অত্যন্ত 'সিরিয়াস' বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এবং ঘটনাটিকে 'টেরোরিস্ট অ্যাক্ট'-এর তকমা দিয়েছেন। ২০১৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের বুকে ৬টি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে। আইসিস-এর বাড়ন্তের পর ফ্রান্স বরাবরই তাদের নিশানায় থেকেছে।