চাপ চাপ রক্ত, বেঞ্চের নিচে আতঙ্কিত শিশুরা, রাশিয়ার স্কুলে বন্দুবাজের হামলায় হত সাত শিশু
মধ্য রাশিয়ায় একটি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় সাত শিশু সহ ১৩ জন নিহত
মধ্য রাশিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকবাদের হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাত জন শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার পরে বন্দুকবাজ আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। কেন বন্দুকবাদ হামলা চালিয়েছে, তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। হামলায় বন্দুকবাজ দুটো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের স্কুলের সামনের ভিডিওতে মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বল্যান্সকে স্কুলের ভিতর ঢুকতে দেখা গিয়েছে। আহত শিশু ও শিক্ষাকর্মীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাকি পড়ুয়া ও শিশুদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্কুলের ভিতরের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত করেছে। সেখানে স্কুলের মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। স্কুলের যে সব ভবনে বন্দুকবাজ হামলা করেছে, শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজে অনেক শিশুকে কান্নাকাটি করতে দেখা দিয়েছে। শ্রেণি কক্ষের জানলায় বুলেটের ছিদ্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে ভয়ে শিশুরা বেঞ্চের নীচে বসে রয়েছে।
রুশ প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুই শিক্ষক ও দুই নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। স্কুল থেকে পড়ুয়ারা ও শিক্ষাকর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে স্কুলে একটি মেডিক্যাল দল পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বন্দুকবাজকে নাৎসি প্রতীকের টি-শার্ট পরে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বন্দুকবাজ কালো রঙের একটি টুপি পরেছিল। স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় স্থানীয় প্রশাসন ২৯ সেপ্টেম্বর শোক প্রকাশের ঘোষণা করেছে। স্কুলটি কেন্দ্রীয় সরকারি ভবনের একেবারে কাছে অবস্থিত। রাশিয়ার ইজেভস্কের শহরের একেবারে কেন্দ্রে স্কুলটি অবস্থিত। এই শহরে ৬৫০,০০০ জন বাসিন্দা রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে,স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার পড়ুয়া রয়েছে। ৮৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুদের ওপর গুলি চালানোর আগে বন্দুকবাজ প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর গুলি চালায়। পরে স্কুলের তৃতীয় ও চুতুর্থ তলায় গুলি চালায়। সেখানেই নিজেকে হুলি করে আত্মহত্যা করে।