সপ্তাহের সব থেকে খারাপ দিন সোমবার, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করল, সপ্তাহের সব থেকে খারাপ দিন সোমবার
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সোমবারকে 'সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন' হিসাবে মনোনীত করেছে। সোমবারটা অনেকের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সোমবারকে কর্মক্ষেত্রের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করার পরেও এই দিনটিতে কাজের গতি অত্যন্ত ধীর হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সপ্তাহে সব থেকে খারাপ দিন সোমবার!
সোমবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস টুইট করে জানায় আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তাহের সব থেকে খারাপ দিন হিসেবে সোমবারকে গণ্য করা হয়েছে। রবিবার ছুটির পরে সোমবার কর্মদিবসের শুরু হয়। ছুটিয়ে কাটিয়ে কর্মীদের মন থেকে ছুটির রেশ যায় না। অনেক ক্ষেত্রেই তীব্র বিরক্তি নিয়ে কর্মজগতে ছুটতে হয়। একটি কথা খুব প্রচলিত রয়েছে মন্ডে ব্লুজ। মূলত সোমবার কর্মীদের কাজে উৎসাহ ফিরিয়ে আনতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই শব্দ নতুন করে কর্মীদের উৎসাহ জোগাতে আর কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে, যেখানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস সোমবারকে 'সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ দিন' হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছে।
নেটিজেনদের স্বীকারোক্তি
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের এই টুইটের নীচে একজন লিখেছেন, এই ঘোষণাটি করতে একটু দেরি করলেন। তো অন্য একজন লিখেছন, সোমবার দিন যদি সপ্তাহে সব থেকে খারাপ দিন হয়, সেক্ষেত্রে বুধবারকে কি বলা যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা এতবাক্যে গিনিস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডসকে সমর্থন করেছে।
ছুটির রেশ কাটে না
রবিবার রাত থেকেই কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য মানসিক একটা প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। ছুটির রেশ থেকে যায়। আলসেমি কাটিয়ে আফিস যাওয়াটাই তখন একটা বড় কাজ হয়ে দাঁড়ায়। তবে মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রতিদিনের রুটিন থেকে একটু আলাদা, একটু আয়েশের। তারপরেই সোমবার আসে। প্রথম দিন থেকে কাজের ব্যস্ততা শুরু হয়। একটু নিঃশ্বাস ফেলার সময় হয় না। তাই ছুটির পরের দিন কাজে মন বসাত একটু বেশি পরিশ্রম করতে হয়। সেই কারণেই অনেকেই মনে করেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার উৎপাদন হারটাও অনেক কম থাকে। সব মিলিয়ে কর্মজগতে নতুন উদ্যোমে ফিরতে ফিরতে মঙ্গলবার হয়ে যায়। সেই কারণেই বোধহয় গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডে টুইটের নিচে নেটিজেন প্রশ্ন করেছেন, বুধবার নিয়ে আপনারা কি বলবেন।
গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের বই
গিনেস বুক অফ রেকর্ডস, এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস নামে পরিচিত বইটি ইতিমধ্যে ১৪৫ মিলিয়ন বিক্রি হয়েছে। ১০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বইটি কমপক্ষে ২২টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৫৫ সালের ২৭ অগাস্ট প্রথম বইটি প্রকাশিত হয়। ওই দিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতিবছর ২৭ অগাস্ট বইটি প্রকাশ করা হয়।
কাপুর পরিবারে খুশির উচ্ছাস, শীঘ্রই সন্তান প্রসব করবেন আলিয়া ভাট, জানুন কবে