বার্লিন প্রাচীর পতনের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গুগলের শ্রদ্ধার্ঘ
বার্লিন প্রাচীর পতনের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গুগলের শ্রদ্ধার্ঘ
ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসান ও জার্মান পুনর্মিলনের প্রেক্ষাপটে জার্মানির বিখ্যাত বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয় ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর। এবার বার্লিন প্রাচীর পতনের ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি ডুডুল প্রকাশ করে সেই সময়ের জার্মানির আন্দোলনরত মানুষদের শ্রদ্ধার্ঘ জানলো গুগল।
এদিন গুগল বার্লিন প্রাচীরের পতন কালের একটি হৃদয়বিদারক ডুডল প্রকাশ করে যাতে দেখা যায় পূর্ব বার্লিন ও পশ্চিম বার্লিনের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কী ভাবে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে পুরো ঘটনার পরিসমাপ্তির ঘটছিল। গুগলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী ম্যাক্স গুথার জানান তিনি এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে আসছেন। ৩০ বছর আগে তাদের আদি বাড়িও বার্লিনে ছিল বলেও জানান তিনি। এমনকি তার মা বাবাও প্রাচীরের পতনের সাক্ষী থেকেছেন। তাদের সংগ্রহে থাকা পুরানো ছবি থেকেই তিনি তার শিল্পকর্মের জন্য অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।
সদ্য প্রকাশিত ওই ডুডুলে দেখা যাচ্ছে এক জার্মান দম্পতি আলিঙ্গনরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তাদের দুপাশে ভেঙে পড়া বার্লিন প্রাচীর।
এই প্রসঙ্গে আবেগ তাড়িত হয়ে ম্যাক্স গুথার বলেন, “আমি আশা করি মানুষ একদিন সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত কাঁটাতার ও বিভাজন কারী প্রাচীরের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবে। স্বদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নিরুপায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে মানুষই। কারণ ভিটে হারানো মানুষ গুলোর কাছে আর কোনও বিকল্প খোলা নেই। ”
কী ঘটেছিল ১৯৮৯-র ৯ই নভেম্বরের সন্ধ্যায় ?
বার্লিন দেয়ালের পতন, যা সাড়া জাগিয়েছিল সাড়া বিশ্বজুড়ে। দেওয়ালটি পশ্চিম জার্মানি থেকে কম্যুউনিস্ট শাসিত পূর্ব জার্মানিকে আলাদা করে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল পারাপার। দীর্ঘকাল ধরে যার জেরে ক্রমেই দানা বাঁধছিল জনরোষ। এরপরই সীমান্তের কড়াকড়ি তুলে দিয়ে এবং পূর্ব জার্মানির থেকে পশ্চিম জার্মানিতে ভ্রমণ সহজ করে দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন তদানন্তীন পূর্ব জার্মানির নেতারা। তবে পরবর্তীতে তারা জানান সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেয়ার কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।