ভেঙে পড়ল দৈত্যাকার হিমশৈল, তাহলে কী প্রলয় আসন্ন
আন্টার্কটিকা আইস সেল্ফ থেকে ভেঙে আলাদা হয়ে গেল দৈত্য়াকার হিমশৈল, ৫৮০০ বর্গ কিমি আয়তনের এই হিমশৈলটি আগে থেকেই সমুদ্রে ভাসছিল, ফলে জলস্তরে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা ।
আশঙ্কা করা হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। বিজ্ঞানীরাও অপেক্ষায় বসেছিলেন। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হল। জুলাইয়ের ১০ থেকে ১২ই জুলাইয়ের মধ্যেই পশ্চিম আন্টার্কটিকার আইস সেল্ফ থেকে ভেঙে গেল বিশালাকার হিমশৈলটি। শুধু বিশালাকার বললে হয়ত ভুল হবে, ৫৮০০ বর্গ কিমি-র এই দৈত্যাকার হিমশৈলটি ইউরোপের লাক্সেমবার্গের দ্বিগুন। ওজন এক লক্ষ কোটি টনেরও বেশি। লার্সেন -সি আইস সেল্ফটির ঘনত্বও নেহাত কম নয়। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ইরি-র মত দুটি জলাধার ঢুকে যাবে এই লার্সেন-সির মধ্যে।
আন্টার্কটিকার আইস সেল্ফ থেকে আলাদা হওয়ার আগে থেকেই এই হিমশৈলটি জলে ভাসছিল, ফলে পুরোপুরিভাবে ভেঙে আলাদা হয়ে গেলেও সমুদ্রের জলস্তরে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এমকী ভাসমান অবস্থাতেই দৈত্যাকার হিমবাহটির ১২ শতাংশ গলে সমুদ্রে মিশে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোজেক্ট মিডাসের বিজ্ঞানীরা। মূল আইস সেল্ফ থেকে ভেঙে আলাদা হওয়া লার্সেন -সি-র নামকরণ হতে চলেছে এ -৬৮।
এমনিতে হিমশৈল ভেঙে পড়া নতুন করে ঘটনা নয়। আন্টার্কটিকা থেকে আইস-সেল্ফ প্রায়ই ভেঙে যায়। কিন্তু এবারের হিমশৈলটি আয়তনে এতটাই বড় যে তার ওপর প্রতিনিয়তই নজর রাখা হচ্ছে। মূলত এত বড় লার্সেন -সি ভেঙে পড়ার জন্য উষ্ণায়নকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা।