গানার অবৈধ খনি কি চকোলেটের দামকে বাড়িয়ে দেবে?
গানার অভ্যন্তরীণ এক সংকটের কারণে আপনি প্রিয় চকলেটের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
গানার বিস্তীর্ণ অঞ্চল-জুরে কোন গাছ নেই। এই স্থানে এক সময় ছিল কোকো গাছ।বলতে গেলে বনের মত ছিল এর বিস্তার।
এই মহিলা তার ফার্মে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করে জীবন চালাচ্ছেন। এবং ফাঁকা যে স্থান পরে আছে, এবং নদীর মত পানি বয়ে যাচ্ছে এই পানিও হওয়ার কথা ছিল পরিষ্কার।
বিশাল এলাকা জুরে মাটি খুরে করা হয়েছে গর্ত। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই অবৈধভাবে গড়ে তোলা গর্ত কি চকলেটকে স্বর্ণে রূপান্তরিত করবে?
গানার অভ্যন্তরীণ এক সংকটের কারণে আপনি প্রিয় চকলেটের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ টা সেটাই বলছি-
বিবিসির সংবাদদাতা একটা খনির সামনে দাড়িয়ে দেখাচ্ছেন এটা একসময় কোকোর চাষ হত। স্থানীয় ভাবে এটাকে বলা হয় গ্যালামসে । এই বনাঞ্চল প্রথমে কিনে ফেলা হয়েছে পরে চায়নিজ বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে এটা অবৈধ স্বর্ণ খনিতে পরিণত হয়েছে।
কাওয়া বারফোর ২৫ বছর ধরে কোকো চাষ করতেন।
তিনি বলছিলেন তার কিছু জমি তিনি বিক্রি করে দিচ্ছেন। যার দাম হবে ৬শ ডলার। এবং আমি ভালো করেই জানি এই জমিতে কি করা হবে। এটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়।
তিনি আরো বলছিলেন, আমি এই কোকো বন অনেক কষ্টে গড়ে তুলেছি। এখন কেউ একজন আসবে আর এটা ধ্বংস করে দেবে। দরিদ্রতার কারণে আমি এই জমি বিক্রি করে দিকে বাধ্য হয়েছি। আমার আর কোন উপায় ছিল না।
তিনি বলছিলেন তিনি যদি তার জমিতে কোকো চাষ করেন তাহলে বছরে এক হাজার ডলার আয় করবেন। কিন্তু যদি সমস্ত জমি বিক্রি করে দেন তাহলে ৪৫ হাজার ডলার পাবেন একসাথে।
কিন্তু এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। পরিবেশ।
মারাত্মক দূষণের মুখে পরেছে পরিবেশ। সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আর খনির পিট গুলো পানিতে ভরা। এই পানিতে রয়েছে মারকারি, লেড, সায়ানাইড। আর এই পানি যেয়ে মিশেছে পার্শ্ববর্তী নদীতে।
এই নারী এক সময় কোকো ফার্মে কাজ করতেন। এখন কোন কাজ নেই তাই সেলাই মেশিনে কাপর সেলাই করে আয় করেন।
তিনি বলছিলেন এই খনি আমাদের নদীকে দূষিত করছে। এই খনি সব গাছ নষ্ট করেছে। এখন আমি এই মাটিতে কোন ফসল ফলাতে পারি না।
গানা বিশ্বের যত কোকো উৎপাদন হয় তার ২০% এদেশেই উৎপাদিত হয়। সুতরাং যারা চকলেট পছন্দ করেন তাদের উপরেও প্রভাব ফেলবে এই সংকট।
ইউনিভার্সিটি অব গানার একজন অধ্যাপক ড্যানিয়েল সারপং বলছিলেন
তিনি এখানে বলছিলেন যদি এখনি এটা বন্ধ করা না হয় তাহলে আগামী তিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে আমরা ৫০% এর এক ফোটা্ও উৎপাদন করতে পারবো না।
বড় উৎপাদনকারী দেশ গানা যদি কোকো উৎপাদন করতে না পারে এবং একই সাথে চাহিদাও বাড়তে থাকে তাহলে চকলেটের দাম বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।