ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের আবেদন জার্মানির
ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের আবেদন জার্মানির
পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে যৌথ সম্মেলনে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী নালেনা বেয়ারবকে কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জার্মানির বিদেশমন্ত্রী নালেনা বেয়ারবকে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে একটি কথাও খরচ করলে না। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান আদতে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে।
ভারতকে চাপে রাখতে চাইছে জার্মানি
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতকে জার্মানি খানিকটা চাপে রাখতে চাইছেন। তালিবান ইস্যুতে ভারত সরাসরি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও আফগান শরনার্থী সেভাবে ভারতে আসেনি। বরং অনেক বেশি শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক হাজার আফগান শরণার্থী তালিবানের দ্বিতীয় শাসনের আগে থেকে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত আফগান শরণার্থীদের সেভাবে আশ্রয় দেয়নি বলে জার্মানি ক্ষোভ থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান জার্মানির রাগের কারণ হতে পারে। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমি দেশগুলো একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারপরেও ভারত পশ্চিমি চাপে মাথা নত করেনি। পশ্চিমি হুমকির পরেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে গিয়েছে। এমনকী রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বার বার বিরত ছিল ভারত। যা জার্মানির ক্ষোভের কারণ। অন্যদিকে, জার্মানি অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের ওপর অনেকটাই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু নিষেধজ্ঞার জেরে জার্মানি একপ্রকার বাধ্য হয়েই তেল আমদানি রাশিয়া থেকে কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি কম হয়ে গিয়েছে। জার্মানিতে প্রবল ঠান্ডায় রাশিয়ার থেকে আমদানি করা গ্যাসের ওপর অনেকটা ভরসা করতে হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসকে পশ্চিমি দেশগুলো নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় না ফেললেও রাশিয়া রফতানি কমিয়ে দিয়েছে। যার জেরে বেশ চাপে রয়েছে জার্মানি সহ ইউরোপের দেশগুলো। সেখান থেকে ভারতের ওপর জার্মানি ক্ষুব্ধ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতকে ঈর্ষা জার্মানির!
প্রাক্তন ভারতীয় এক বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে ভারত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারত ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে চলে গিয়েছে। আবার রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যের জন্য আমেরিকা ভারত, ব্রাজিল ও জাপানের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ক্রমেই ভারত শক্তিশালী দেশে পরিণত হচ্ছে। যা ক্রমেই জার্মানির ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘ
কাশ্মীর ইস্যুতে যদিও জার্মান বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। এক্ষেত্রে কিছুটা বিপাকে পাকিস্তান পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসংঘের রেজোলিউসন ৪৭ মেনে চেলেনি পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের আহ্বানে পাক বিদেশমন্ত্রী কূটনৈতিকভাবে কিছুটা বিপাকে পড়তে পারেন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, দুই সপ্তাহে আটটি উৎক্ষেপণে চাপে সিওল ও টোকিও