পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন পুরনো শত্রুতার ঝাল মেটাল জার্মানি ! ইমরানের 'অনুরোধ' ধোপে টিকলানা
সৌদি আরবের কাছে কাশ্মীর নিয়ে চোখ রাঙাতে গিয়ে খোদ সৌদি রাজপুত্রের বিরাগভাজন হয়েছে চিনের 'প্রিয় বন্ধু' পাকিস্তান। এরপর জার্মানির সামনেও মুখ খুবড়ে পড়ল ইমরানের বিশেষ অনুরোধ। জার্মানি কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছে নিজের স্পষ্ট অবস্থান।
ইমরানের আর্জি কানে পাতা হলনা!
ইমরান য়কান নিজে অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন সাবমেরিনের এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন নিয়ে। সাবমেরিনের ব্যাটারি রিচার্জের জন্য এই সিস্টেম জার্মানির থেকে প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। তবে ইমরানের অনুরোধকে যে জার্মানি পাত্তা দিচ্ছে না , তা গত ৬ অগাস্ট জার্মানিতে পাকিস্তান দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কেন পাকিস্তান জার্মানির চক্ষুশূল হয়ে রয়েছে?
২০১৭ সালে কাবুলে জার্মানির দূতাবাসে একটি ট্রাক বম্ব হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদ ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। পরবর্তীকালে জার্মানি তার তদন্তে নামলে , পাকিস্তান জার্মানিকে সাহায্য করতে চায়নি। সেই রাগ পুষে রেখেছিল জার্মানি। যার প্রকাশ সদ্য হয়েছে।
কী ঘটেছে?
জার্মানির থেকে সাবমেরিনের 'এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন' চেয়েছিল পাকিস্তান। যারপর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের নেতৃত্বাধীন দেশ সাফ ভাষায় পাকিস্তানকে জানিয়ে দিয়েছে, বার্লিন এবিষয়ে ইসলামাবাদকে কোনও সাহায্য করবে না।
জার্মানির প্রত্যাখ্যান ও পাকিস্তানের সামরিক শিবিরে ধাক্কা
পাকিস্তানের সামরিক শিবিরে বড় ধাক্কা। সাবমেরিনের হাত ধরে পাকিস্তান নিজের সামরিক পেশীশক্তি আস্ফালনের চেষ্টা করছিল। জার্মানিন এআইপির সাহায্য পেলে পাকিস্তান সাবমেরিনের ডিজেল ইঞ্জিনকে চালাতে পারত প্রাকৃতিক বায়ুর গতি ছাড়াই এক সপ্তাহের জন্য চালিয়ে রাখতে পারত।
পাকিস্তানের থেকে কেন উন্নত ভারতের সামরিক সজ্জা?
উল্লেখ্য, সাবমেরিনের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সে বিষয়ের সাহায্য জার্মানির থেকে পাকিস্তান নিতে গিয়েছিল, তা ভারত নিজের মাটিতে ডিআরডিওতে তৈরি করে। ফলে ভারতের সাবমেরিনের রক্ষমাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অন্য কারোর মুখাপেক্ষী হতে হয় না।