সবার আগে যে দেশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে, অশনি সংকেত দিলেন ভূ-বিজ্ঞানীরা
সবার আগে যে দেশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে, অশনি সংকেত দিলেন ভূ-বিজ্ঞানীরা
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জলস্তর বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বহু দেশ জলের তলায় চলে যেতে পারে একে একে। এই আঙ্গিকে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার ফলে কোন দেশ সবার আগে জলের তলায় চলে যেতে পারে। ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি ছোট্ট প্রবাল দ্বীপ অস্তিত্ব হারাবে সর্বপ্রথম।
জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে যে দেশ
জলস্তর বাড়লে যে দেশ সবার আগে জলের তলায় তলিয়ে যেতে পারে, তা হল প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত প্রবাল দ্বীপ কিরিবাতি। ৩৩টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত ওই কিরিবাতি বা কিরিবাস দেশ। এই দেশের বৃহত্তম শহর বা রাজধানী শহর হল তারাওয়া। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মাইক্রোনেশিয়ার অন্তর্গত ওই দেশ। সে দেশে দুটি ভাষার প্রচলন রয়েছে। এক হল ইংরেজি, দুই গিলবার্টেসি।
কিরিবাস দ্বীপের কিছু অংশ প্রতিবছর নিমজ্জিত হচ্ছে
প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত কিরিবাস দ্বীপের কিছু অংশ প্রতিবছর নিমজ্জিত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করে ভূ-বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, ৬০ বছর পর এই দ্বীপটির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। কারণ এই দেশটি পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেটি প্রত্যেক গোলার্ধের মাঝ বরাবর অবস্থিত। তার ফলে এখানে দ্রাঘিমাংশের বিভিন্নতা দেখা যায়। যার জন্য সময়ের ভিন্নতাও দেখা যায়
বরফ গলে সমুদ্রের জলের উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে
আর কিরিবাস দ্বীপের অন্যতম বড় সমস্যা হল বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এই অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের জলের উচ্চতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার মানুষ প্রায় সবসময় এই দুশ্চিন্তার থাকে, কবে তাঁদের দেশে সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে যেতে পারে। আর সেইসঙ্গে সমুদ্রের জলের প্রভাবে পানীয় জলের সংকট তীব্রতর হয় এই দেশে।
প্রকৃতির কোপে একদিন এই দেশ অস্তিত্ব হারাবেই
প্রতিবছরই এই দেশটি জলের তলায় নিমজ্জিত হয়। তাই ফিজিতে জমি কিনছে এই দেশ। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। আর এ জন্য বহু দেশ আর্থিকভাবে সাহায্য করে দেশটিকে। অস্তিত্বরক্ষার জন্য জাতিপুঞ্জও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রকৃতির এমনই লীলা যে কালের কোপে একদিন এই দেশ অস্তিত্ব হারাবেই।
সমুদ্রের জলের প্রকোপে দূষণ এখানে মারণ রোগ
শুধু তাই নয়, দেশটিতে দূষণের মাত্রা অত্যধিক। ফলে দেশবাসী প্রায় সময়ই নানা রোগে ভোগে। এবং তার ফলে মৃত্যু পর্যনত্ হয়। এ দেশে দূষণের কারণে শিশুমৃত্যুর হারও বেশি। তবে দেশটির সৌন্দর্য অতুলনীয়। প্রবাল দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত দেশ। ফলে এর সৌন্দর্য দেখতে বহু মানুষ আসেন। পর্যটন মানচিত্রে এই দেশটির গুরুত্ব অপরিসীম। কিরিবাস দেশের নিজস্ব কোনও মুদ্রা নেই। এখানে ব্যবহার হয় অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
৩৩টি প্রবাল দ্বীপের মধ্যে ২১টি দ্বীপ বসবাসযোগ্য
কিরিবাস দেশটি ৩৩টি ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে ২১টি দ্বীপ বসবাসযোগ্য। আর এদেশের সংস্কৃতিও একেবারে ভিন্ন। এখানে কুমারীত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। একটি মেয়ে কুমারী কি না যাচাই করার অদ্ভুত বিধি এখানে। বিবারের পূর্বে কুমারী কি না যাচাইয়ের জন্য শারীরিক সম্পর্ক করানোর রীতি রয়েছে এখানে।