প্যারিস বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু, জখম ১২
সাত-সকালে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল প্যারিস। এই যটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে জখম হয়েছেন অন্তত ১২ জন। প্যারিসের একদম কেন্দ্রভাগে থাকা একটি বিজনেস সেন্টারে এই বিস্ফোরণ হয়।
সাত-সকালে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল প্যারিস। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১২ জন। প্যারিসের একদম কেন্দ্রভাগে থাকা একটি বিজনেস সেন্টারে এই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল এই বিজনেস সেন্টারের উল্টোদিকে থাকা বাড়িগুলোরও ব্য়াপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তায় থাকা অধিকাংশ গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিজনেস সেন্টারে থাকা বেকারি-তে গ্যাস পাইপ লাইনে বিস্ফোরণে এই ঘটনা। তবে, এর পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে কি না তা এখুনি উড়িয়ে দেয়নি প্যারিস পুলিশ।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা তথা ভারতীয় সময় বেলা ১টা নাগাদ প্যারিসের নাইন অ্যারোনডিসমেন্ট-এর রু ডে ট্রেভিসঁ এলাকায় দ্য হুবার্ট বেকারি-তে এই বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্য়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এমারজেন্সি সার্ভিসের লোকজন। তারা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। দেখা যায় বেকারির সামনে ত্রস্ত-বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে একের পর এক গাড়ি। বিস্ফোরণে জখমরা আর্তনাদ করছেন। বেকারির উল্টো দিকে থাকা বাড়িগুলোর কাঁচের জানলা ভেঙে পড়েছে, দেওয়াল জুড়ে দগদগ করছে আগুনের হলকার চিহ্ন। যারা এই বিস্ফোরণে অক্ষত ছিলেন তাঁরা সব অবাক দৃষ্টিতে বেকারির দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
প্রথম দিকে মৃত্যুর সংখ্য়া সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছিল না। পরে প্য়ারিস পুলিশ জানায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স সরকারেক এক মন্ত্রী জানান ২ দমকল কর্মী-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের পর আগুন নেবাতে গিয়ে এই দুই দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়। বাকি এক জন মৃত ব্যক্তি স্পেনীয় বলে জানা গিয়েছে। জখমদের মধ্যে একজন দমকল কর্মীও আছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইন্টেরিয়র মিনিস্টার ক্রিস্টোফার কাস্টানার। পরে তিনি জানান পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। প্য়ারিস-সহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে এখন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের হচ্ছে। 'ইয়েলো ভেস্ট' নামে পরিচিত এই সব প্রতিবাদীরা শনিবারও নানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। এদের জন্য ইতিমধ্যেই ৮০,০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই প্রতিবাদের সঙ্গে গ্যাস বিস্ফোরণের কোনও সংযোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে প্যারিস পুলিশ।