বলসোনারোকে দায়ী করেই আমাজন বাঁচাতে একজোট হল জি-৭ দেশগুলি
কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না আমাজনের এই আগুন। জি-৭ সামিটে তোলপাড় চলছে এই নিয়ে। অনিয়ন্ত্রিত বৃক্ষছেদনে কেন পদক্ষেপ করেননি ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জেইল বলসোনারো।
কোনওভাবেই
মেনে
নেওয়া
যাবে
না
আমাজনের
এই
আগুন।
জি-৭
সামিটে
তোলপাড়
চলছে
এই
নিয়ে।
অনিয়ন্ত্রিত
বৃক্ষছেদনে
কেন
পদক্ষেপ
করেননি
ব্রাজিল
প্রেসিডেন্ট
জেইল
বলসোনারো।
যার
মাশুল
গুণতে
হবে
গোটা
বিশ্বকে।
যে
নিরক্ষীয়
চিরহরিত
বনাঞ্চল
গোটা
পৃথিবীরে
অক্সিজেনের
সিংহভাগ
দান
করে
তার
এমন
দশা
করতে
একটুও
বাঁধল
না
প্রেসিডেন্টের।
এই
নিয়ে
সমালোচনায়
মুখর
হয়েছেন
জি-৭
সামিটে
যোগদানকারী
দেশগুলি।
এই
পরিস্থিতি
থেকে
বাঁচতে
আর্থিক
এবং
প্রযুক্তি
গত
সবরকম
সাহায্যে
সহমত
হয়েছেন
তাঁরা।
কোনএ
ভাবেই
এই
বনাঞ্চল
ধ্বংস
হতে
দেওয়া
যাবে
না।
ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট
ইমানুয়ের
ম্যাক্রোঁ
জানিেয়ছেন,
আমাজন
বাঁচাতে
সবরকম
সহযোগিতা
করতে
চায়
জি-৭
ভুক্ত
দেশগুিল।
বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে আমাজন
চন্দ্রযান-২ যদি এখন পৃথিবীর ছবি পাঠায় তাহলে দেখা যাবে সবুজ, নীল, সাদা রঙের মাঝে রক্তিম আভা। সিঁদুরের টিপের মতো দেখালেও সেই রক্তিম আভা যে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে কয়েকগুণ তাড়াতাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে বসেছে। এই সত্যিটা বোঝার ক্ষমতা ব্রাজিলের উন্নয়নকামী প্রেসিেডন্টের বোধ হয় হয়নি। সেকারণেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে ফেলেছে সিংহভাগ আমাজন বনাঞ্চল। যা নিয়ে এতোদিন গর্ব করত তারা। সেই আমাজনই যদি না থাকে ব্রাজিলে তাহলে যে পুরো অর্থনীতিটাই ভেঙে পড়বে সেটা কী বুঝতে পারেননি জেইর বলসানারো। নাকি উন্নয়নের গোঁ তাঁর ঘাড়ে চেপে বসেেছ?
আমাজনের আগুন নেভাতে কী করছে ব্রাজিল?
আন্তর্জাতিক মহলে যে ব্রাজিলের উপর চাপ বাড়ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সকলেই আঙুল তুলেছেন প্রেিসডেন্টের উদাসীনতা নিয়ে। প্রথমটায় দায় এড়িয়ে গেলেও প্রথম বিশ্বের দেশ গুলি যখন তাঁর উপর দোষারোপ করতে শুরু করে তখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না বলসানারো। দিন কয়েক নিজের দায় এড়ানোর চষ্টা করেেছন তিনি। আমাজনের গ্রামবাসীদের উপর দায় চাপিয়ে নিজেকে হাল্কা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে চেষ্টাও বিফলে গিয়েছে। উপায়ন্তর না দেখে শেষে আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীকে নামিয়েছেন তিনি। প্রায় ৪৪,০০০ বাহিনী নামানো হয়েছে আগুন নেভাতে। যুদ্ধ বিমানে করে ক্রমাগত জল ঢালা হচ্ছে।
আমাজনের আগুন নেভাতে কী সিদ্ধান্ত জি-৭ বৈঠকে
আমাজন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি। আমেরিকা, ব্রিটেন ইতিমধ্যেই এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ব্রাজিলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। জি-৭ সামিটেও সাতটি দেশ ব্রাজিলকে সাহায্যের জন্য সম্মতি জানিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, ব্রিটেন, কানাডা। আমাজনের আগুন নেভাতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সবরকম সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।
আমাজনের আগুন নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশকর্মীরা
ব্রাজিল তো বটেই অন্যদেশের পরিবেশকর্মীরাও আমাজনের এই বিধ্বংসী আগুন নিয়ে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন এবং রুষ্ট। তাঁরা অভিযোগ করেছেন বেহিসাবী খনন কাজ চালানোর জন্য যথেচ্ছ বৃক্ষচ্ছেদন চলেছে আমাজনে। তার কোনও দিকেই নজর দেননি প্রেসিডেন্ট। চলতি বছরে ৭৫০০০-এরও বেশি বার আগুন লেগেছে আমাজনে। শেষেরটা মাত্রা ছাড়িয়েছে। এর আগে যে আগুন গুলি লেগেছে সেদিকে কোনও হুঁশ ছিল না প্রশাসনের। এখন কৃষকদের উপর দোষ চাপিয়ে রেহাই পেতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁরা।