রাশিয়ায় অর্থনীতিতে আঘাত হানতে চরম সিদ্ধান্ত, রুশ সোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জি-৭ সম্মেলনে
রাশিয়ায় অর্থনীতিতে আঘাত হানতে চরম সিদ্ধান্ত, রুশ সোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জি-৭ সম্মেলনে
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার মধ্যেই জার্মানিতে জি-৭ সম্মেলন শুরু হল। রুশ আগ্রাসন ও তার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য সঙ্কট জি-৭ সম্মেলনের প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। বৈঠকের শুরুতেই জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো রুশ সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করল। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপান ও কানাডা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আর জোরদার করার পক্ষে সওয়াল করেছে। এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, 'জি-৭ সম্মেলনে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি, তা সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে ব্রিটেন ও তার মিত্রশক্তিরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জি-৭ এর পক্ষ থেকে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। সোনা রফতানি করে রাশিয়া ব্যাপক লাভবান হয়। ব্যাপক পরিমাণে রাজস্ব জমা হয়। সোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব পড়বে বলেই মার্কিন প্রশাসনের ওই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক মনে করছেন। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, গত বছর রাশিয়া ১৫.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোনা রফতানি করেছিল ।
জি-৭
সম্মেলনে
রাশিয়ার
তেল
আমদানির
বিষয়ে
আলোচনার
সম্ভাবনা
রয়েছে।
ইউক্রেনে
অভিযান
শুরুর
পরেই
রাশিয়া
অপরিশোধিত
তেলের
দাম
কমিয়ে
দেয়।
বিশ্ব
বাজারে
যখন
হু
হু
করে
অপরিশোধিত
তেলের
দাম
বাড়ছে,
রাশিয়া
তখন
অনেক
কম
মূল্যে
তেল
বিক্রি
করছে।
পশ্চিমি
দেশগুলোর
নিষেধাজ্ঞার
ফলেও
অনেক
দেশ
রাশিয়ার
থেকে
তেল
কিনতে
আগ্রহী
হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে
খাদ্যসঙ্কটের
একটা
আশঙ্কা
দেখা
দিয়েছে।
জি-৭
সম্মেলনে
খাদ্যসঙ্কটের
আশঙ্কাকে
সামনে
রেখে
আলোচনা
শুরু
হয়েছে।
ইউক্রেনে
রুশ
অভিযানের
পর
বিশ্বজুড়ে
তীব্র
খাদ্যসঙ্কটের
সম্ভাবনা
দেখা
দিয়েছে।
এই
বিষয়ে
রাষ্ট্রসংঘ
সতর্ক
করে
দিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ
জানিয়েছে,
চলতি
বছরেই
এই
খাদ্য
সঙ্কট
দেখা
দিতে
পারে।
আগামী
বছরে
তা
প্রকট
আকার
নেবে।
এই
বিষয়ে
ইউরোপীয়
ইউনিয়নের
এক
আধিকারিক
রাশিয়াকেই
দায়ী
করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সম্মেলনে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমেই চিন তার শক্তি বাড়াচ্ছে। যা পশ্চিমি দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিন নিয়ে জি-৭ বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ন্যাটো নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা শুরু হয়েছে। জার্মানির তরফে জানানো হয়, জি-৭ এর সদস্য দেশগুলো ও ন্যাটো আগের থেকে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেমন পুতিনের সাম্রাজ্যবাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তেমনি খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত।
নেই শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, 'জি-৭ হোটেল’-এর আভিজ্যাত্যে হার মানবে বিশ্বের সেরা রিসর্টগুলো
করোনা মহামারীর পরে ২০২১ সালে জি-৭ সম্মেলন হয়। বিশ্ব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে সেই সময় উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে জি-৭ এর সদস্যদেশগুলো মন্তব্য করেছে। চলতি বছরে জি-৭ সম্মেলনে অংশীদারী দেশ হিসেবে সেনেগাল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।