জি২০ সম্মেলনে মাস্টারস্ট্রোক মোদীর, কী বললেন যাতে চাপ বাড়ল পাকিস্তানের
জি২০ সম্মেলনে মোদী সারা দেশে জিএসটি চালু হওয়া ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।
জি২০ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনডিএ সরকারের কথা বলতে গিয়ে দুটি প্রধান বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেছেন। মোদী সারা দেশে জিএসটি চালু হওয়া ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। [আরও পড়ুন : জি২০ সম্মেলনে কঠিন লড়াইয়ের শপথ রাষ্ট্রনেতাদের, কী বললেন তাঁরা]
সারা ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য জিএসটি এক দেশ এক কর ভাবনাকে সামনে রেখে ঐক্য গড়ে তুলবে বলে জি২০ সম্মেলনে দাবি করেছেন মোদী। এছাড়া ২০১৯ সালের মধ্যে আরও ১০ কোটি বাড়িকে দারিদ্র সীমার নিচ থেকে তুলে আনার বিষয়েও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে সঙ্কল্প মোদী সরকার নিয়েছে তা ফের একবার জি২০-র মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন মোদী। এবং দেশের ৫০ কোটি যুবককে নানা বৃত্তিমূলক বা প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণে শিক্ষিত করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি। সারা বিশ্বে 'অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন' বলবৎ হয়ে কালো টাকা ও হিসাব বহির্ভূত টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে বলে মোদী আশাপ্রকাশ করেন।
নোট বাতিলের প্রসঙ্গ তুলে এনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের জানান, এই পদক্ষেপ ভারতের দুর্নীতি দূর করতে বড় হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে। এবং ডিজিটাইজেশন ও অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সাহায্য করেছে।
মোদীর ভাষণের আগে জি২০ সম্মেলনের গোষ্ঠীভুক্ত সকল রাষ্ট্র একযোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ করে। সেই প্রসঙ্গেই মোদী ১১ দফা অ্যাজেন্ডার কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে, যে দেশ সন্ত্রাসবাদে মদত দেবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, সেই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের জি২০-তে ঢুকতে না দেওয়া, সন্দেহজনক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা বিনিময় করা, সকলে মিলে যৌথ উদ্যোগে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা ইত্যাদি বিষয়।