সমকামী হয়ে কারা সরকারের শীর্ষপদে বসেছেন! দেখুন বিশ্বনেতাদের তালিকা
কোন কোন দেশে সমকামী নেতারা রয়েছেন তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিয়েছে যে সমকামকে আর অপরাধ বলে ভারতে গণ্য করা হবে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। জানিয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে (যার মধ্যে বিচারব্যবস্থাও রয়েছে) বৈচিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সমাজের জনপ্রিয় ভাবনাকে সংখ্যালঘুদের উপরে চাপিয়ে দিলে চলবে না। কারণ সমাজের একজন ব্যক্তিরও মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়া উচিত নয়। এই বলে এদিন আদালত সমকামকে মান্যতা দিয়েছে। এমন রায়ের পর সারা দেশে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করছেন। তবে এটা শুরু ভারতের বিষয় নয়। সারা পৃথিবী এখন সমকামকে মেনে নেওয়ার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোন কোন দেশে সমকামী নেতারা রয়েছেন তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
জোহানা সিগুর্দারদোত্তির
আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকার সামলে ইতিহাস গড়েন জোহানা। তিনি হন আইসল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। এবং তিনি সর্বসমক্ষে নিজেকে এলজিবিটি গোষ্ঠীর দাবি করে সরকার সামলান। ২০০২ সালে তিনি পার্টনার জোনিনা লেডসদোত্তিরকে বিয়ে করেন।
[আরও পড়ুন: 'এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে', সমকাম রায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য স্বামীর]
এলিও ডি রুপো
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এলিও ডি রুপো বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৬ সালে তাঁকে যৌন মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে তিনি নিজেকে সমকামী বলে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেন। সেই ঘটনার পর সকলেই স্তম্ভিত হয়ে যান বলে জানিয়েছিলেন রুপো।
[আরও পড়ুন: সমকামে বৈধতার রায় বেরোতেই ললিত হোটেলে শুরু উৎসব, কী বললেন কেশব সুরী ]
জেভিয়ার বেটেল
২০১৩ সালে লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী হন জেভিয়ার। লুক্সেমবার্গের প্রথম সর্বসমক্ষে এগিয়ে এসে স্বীকার করা মন্ত্রী হন বেটেল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৫ সালে নিজের পার্টনার গথিনার ডেস্টিনেকে বিয়ে করেন তিনি। তারপরই সেদেশে সমলিঙ্গ বিবাহ আইন পাশ হয়।
[আরও পড়ুন:সমকামকে বৈধতা দিয়ে কী বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি]
লিও ভারাদকর
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ২০১৭ সালে শপথ নেন লিও। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ২০১৫ সালে তিনি নিজের সমকামের প্রতি আগ্রহের কথা সর্বসমক্ষে জানান। আয়ারল্যান্ডের মতো রক্ষণশীল দেশে একজন সমকামী দেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তা যুগান্তকারী বলে সংবাদসংস্থা বিবিসি দাবি করেছিল।
অ্যানা বারনাবিচ
সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন ২০১৭ সালে। সেদেশের প্রধান পদে এই প্রথম কোনও মহিলা বসলেন। নিজেকে সর্বসমক্ষে লেসবিয়ান বলে দাবি করেন অ্যানা। জানান, এটা শুনে অনেকে হাঁ হয়ে যাবেন, তবে আশা করি সকলে মেনে নেবেন। সার্বিয়ার মতো রক্ষণশীল দেশেও অ্যানাকে মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। তবে তিনি দায়িত্বের সঙ্গে সরকার সামলাচ্ছেন।