চতুর্থ দফার উপজেলা ভোট রবিবার, পটুয়াখালীতে হিংসা
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় ভালো ফল করেছিল বিএনপি-জামায়ত। তাতে উল্লসিত হয়ে পড়ে তারা। কিন্তু তৃতীয় দফার ভোটে ঘুরে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছিল, প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হওয়ার জেরে প্রথম দুই দফায় খারাপ ফল করেছিল শেখ হাসিনার দল। আসল ব্যাপারটা হল, প্রথম দু'দফায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাবু করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। তাই তাদের এমন অবস্থা হয়। তৃতীয় দফায় নরমে-গরমে বিদ্রোহীদের কাবু করে তারা। তাই ভালো ফল করে আওয়ামী লীগ।
চতুর্থ দফায়ও এই বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভাবাচ্ছে বিএনপি-কে। আওয়ামী লীগে যে বিদ্রোহী প্রার্থী একদমই নেই, তা নয়। কিন্তু সেই সংখ্যা বিএনপি-র তুলনায় অনেকটা কম। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কৌশল হল, স্থানীয় কোন্দল মিটিয়ে এক প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা। কারণ গোঁজ প্রার্থী থাকলেই ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা বাড়বে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, "তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল, তাদের আমরা বসাতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলাফলও পেয়েছি। উপজেলা নির্বাচনের শেষ দু'টো ধাপেও আমরা জিতব বলে আশা করছি।"
বিএনপি ভিতরে ভিতরে আশঙ্কা করলেও বাইরে স্বীকার করছে না গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, "আমাদের দলে কোনও সমস্যা নেই। বরং অবৈধ সরকার নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যদি ঠিকঠাক না হয়, দায় বর্তাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর।"
যে যে জেলার উপজেলাগুলিতে ২৩ মার্চ ভোট নেওয়া হবে, সেই জেলাগুলি হল: ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, কক্সবাজার, রাঙামাটি ইত্যাদি (বিস্তারিত তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
এদিকে, পৃথক একটি ঘটনায় পটুয়াখালীতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহাদাৎ মৃধার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালাল একদল দুর্বৃত্ত। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। ১০-১২ মোটর সাইকেলে চেপে একদল লোক লাঠি, তলোয়ার নিয়ে হামলা চালায়। অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। শাহাদাৎ মৃধা বলেন, "আওয়ামী লীগ তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার নিন্দা করছি এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।" যদিও আওয়ামী লীগ একে বিএনপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে বর্ণনা করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।