প্রয়াত বারবারা, আমেরিকা হারাল এক বর্ণময় চরিত্রকে
বারবারা বুশ। বর্তমান প্রজন্মের সেভাবে খেয়াল পড়ার কথাও নয় এই মহিলাকে। কিন্তু, যে সব মানুষ উপসাগরীয় যুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁদের সকলেরই গোচরে থাকার কথা বারবারা বুশের নাম।
বারবারা বুশ। বর্তমান প্রজন্মের সেভাবে খেয়াল পড়ার কথাও নয় এই মহিলাকে। কিন্তু, যে সব মানুষ উপসাগরীয় যুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁদের সকলেরই গোচরে থাকার কথা বারবারা বুশের নাম। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডবলু বুশের পাশে একমাথা সাদা চুলের এক সুন্দরী মহিলাকে সকলে দেখতে পেতেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন মার্কিন ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশ। তিনি তো শুধু ফার্স্ট লেডি ছিলেন না, পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে জর্জ ডবলু বুশও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। প্রথমে ফার্স্ট লেডি তারপরে আবার জীবীতকালে ছেলেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে দেখেছেন এমন মহিলাদের তালিকায় বারবারাই এখন পর্যন্ত একমাত্র নাম। আমেরিকার ইতিহাসে এই রেকর্ডটি করেছেন বারবারা।
বুশ পরিবারের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে জানা গিয়েছে ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন বারবারা। এর আগে ১৫ এপ্রিল বুশ পরিবার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে জানানো হয়েছিল ৯২ বছরের বারবারা পাল্মিউনারি ডিজিজে আক্রান্ত। বার্ধক্যের কারণে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তিও কমে গিয়েছে। তাই নতুন করে বারবারাকে ওষুধের উপর জীবন অতিবাহিত না করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও ধরনের ওষুধের প্রয়োগের ছাড়াই যাতে তিনি সুস্থ ও সবল থাকেন তার জন্য তাঁকে 'কমফোর্ট কেয়ার' দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বারবারা ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে ছিলেন। তাঁর চেহারা ও চরিত্রে যে বনেদিয়ানার ছাপ ছিল তা যেন আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করেছিল। প্রেসিডেন্ট পত্নী হয়েও ঘর-সংসার সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতেন বারবারা। স্বামীর সঙ্গে রাজীনীতির আঙিনায় ঘুরে-বেড়ানোটা তাঁর খুব একটা পছন্দের ছিল না। বারবারা কথা বলতে গিয়ে আজও অনেকে 'বুশ ৪১' এবং 'বুশ ৪৩'-র পত্নী ও মা বলে উল্লেখ করে থাকেন। আসলে বারবারার স্বামী জর্জ এইচডবলু বুশ ছিলেন আমেরিকার ৪১ তম প্রেসিডেন্ট। আর ছেলে জর্জ ডবলু বুশ ছিলেন ৪৩ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বারবারা বুশের প্রয়াণে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে শোকবার্তা পৌঁছেছে আমেরিকায় বুশ পরিবারের কাছে।