কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে আক্রমণ, পাল্টা সাইপ্রাস সঙ্কট নিয়ে তুরস্ককে নিশানা জয়শঙ্করের
রাষ্ট্রসংঘে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীকে সাইপ্রাস ইস্যুতে আক্রমণ জয়শঙ্করের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েপ এরদোগানের রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি পরোক্ষে ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন। তায়েপ এরদোগানের মন্তব্যের কয়েকণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি পাল্টা তুরস্কের সাইপ্রাস হামলার কথা উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় দিনে এস জয়শঙ্কর তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক করেন। বৈঠকে একাধিক প্রসঙ্গে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পাশাপাশি তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্কর বৈঠক করেন। এই প্রসঙ্গে ট্যুইট করে জয়ঙ্কর বলেন, তিনি তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে ইউক্রেনে সংঘাত, খাদ্য নিরাপত্তা ও সাইপ্রাস হামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েপ এরদোগান বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই নিজের বক্তব্যে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। এরপরেই জয়শঙ্করের বৈঠকে সাইপ্রাস প্রসঙ্গ যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
সাইপ্রাস ইস্যুতে ভারতের অবস্থান
১৯৭৪ সালে তুরস্ক আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে সাইপ্রাস সঙ্কট শুরু হয়। এরপরেই সাইপ্রাস দ্বীপে সামরিক উত্থান হয়। গ্রিক সরকারের মদতেই এই সামরিক উত্থান হয় বলে জানা যায়। যার জেরে সাইপ্রাসের উত্তর দিকটি তুরস্কের হাতছাড়া হয়। তারপর থেকেই সাইপ্রাস সঙ্কট শুরু হয়েছে। ভারত রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী এই সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের পক্ষে সওয়া করে এসেছে। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সাইপ্রাস কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করেছে।
ভারতের পাশে ফ্রান্স
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাধরণ বৈঠকে ভারতের পাশে দাঁড়ান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময়। তিনি ঠিক বলেছিলেন। এখন পশ্চিমির দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সময় নয়, বা পশ্চিমি দেশগুলোর যুদ্ধ ঘোষণার সময় নয়। এখন সমস্ত দেশগুলোকে একত্রিত হয়ে বিশ্বের রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য, শিক্ষার ওপর দেশগুলোকে জোর দিতে হবে। বিশ্বের স্বার্থে ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে জোরদার করতে জোট গঠন করতে হবে।
যদিও
ইম্যানুয়েল
ম্যাঁকো
আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যমের
বিপরীতে
অবস্থান
করেছেন।
এসসিও
সম্মেলনে
রুশ
প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির
পুতিনের
সঙ্গে
ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদীর
ঘনিষ্ঠতা
মোটেই
ভালোভাবে
মেনে
নেয়নি
পশ্চিমি
দেশগুলো।
ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ একটি নৈশভোজের আয়োজন করেন। টুইটারে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ম্যাঁক্রোকে ধন্যবাদ জানান। নিউ ইয়র্কে উচ্চস্তরের বৈঠকের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী। পাশাপাশি ইউক্রেনে সংঘাতের মতো বিষয়টিকে ফের একবার সামনে তুলে আনার জন্য জয়শঙ্কর ম্যাঁক্রোর প্রশংসা করেন। বুধবার জয়শঙ্করের ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খাদ্য, শক্তি ও অর্থ নিয়ে জয়শঙ্কর আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
'কত সম্পত্তি আছে...’ ফের নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা ইমরান খানের